যুদ্ধে ব্যবহৃত হেলিকপ্টারের একের পর এক আকাশসীমা লঙ্ঘন, মর্টার হামলাসহ সীমান্তে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপি। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে সীমান্ত প্রটোকল ব্যত্যয় না হওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
আজ রোববার কক্সবাজারের টেকনাফ শাহ পরীরদ্বীপে সাউদার্ন পয়েন্ট রিসোর্টে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিকালে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার। বৈঠকে মাইন বিস্ফোরণ, মাদক চোরাচালান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিজিবির অধিনায়ক বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে বিষয়গুলো প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরা হয়। তারা কিছু কিছু বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ এবং প্রতিশ্রুতও দিয়েছে ভবিষ্যতে প্রতিশ্রুতির ব্যত্যয় না ঘটার।
সকাল ৯টায় মিয়ানমারের পিইন ফিউ ১ নাম্বার বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইয়ে ওয়াই শো’র নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল নাফনদী হয়ে টেকনাফ শাহ পরীরদ্বীপ জেটিঘাটে পৌঁছান। সেখানে তাদের স্বাগত জানান টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার। পরে সকাল পৌনে ১০টায় পতাকা বৈঠক শুরু হয়। এ বৈঠক শেষ হয় দুপুর ২টায়। বিকাল ৩টায় তারা নদীপথে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
এদিকে সীমান্তে চলমান অস্থিরতায় আতঙ্কিত এপারের বাসিন্দারা। অস্থিরতার তিন মাসের মাথায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় সীমান্ত পরিস্থিতি আবারও স্বাভাবিক হওয়ার প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
