গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় ৭৭০ মৃত্যু, শনাক্ত পৌনে ২ লাখ

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৯৪ জন।

আজ রবিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৭ লাখ ৪৩ হাজার ১০৭ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৭ কোটি ৩০ লাখ ২ হাজার ৫৫৯ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো ও রাশিয়া।

গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৯৫৪ জন এবং মারা গেছেন ৩৯৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার ৮৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬৫ হাজার ৪৩ জন মারা গেছেন।

ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭১ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৪৪১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৩৩ হাজার ১৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৩১৬ জনের।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬১০ জন এবং মারা গেছেন ২১ জন। ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩২৪ জন। ডেনমার্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৬ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ১৪ জন এবং মারা গেছেন ৪৩ জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৬৯ জন এবং মারা গেছেন ২৪ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২১ হাজার ৭৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৩ জন। হংকংয়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০৭ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।