আজ সারাদেশে চলছে বুস্টার ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা ক্যাম্পেইন

আজ সারা দেশে ৭৫ লাখ মানুষকে কভিড-১৯ টিকা দেয়া হবে। বিশেষ এ ক্যাম্পেইনে দেশের বিভিন্ন সরকারি পর্যায়ের হাসপাতাল ও নিয়মিত টিকা কেন্দ্রে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে টিকা কার্যক্রম বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং জনসন ও জনসন টিকার পাঁচ ধরনের ২ কোটি ৭৮ লাখ ডোজ মজুদ রয়েছে। সরকারের উদ্যোগে এরই মধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশকে প্রথম ডোজ, ৭০ দশমিক ৩ শতাংশকে দ্বিতীয় ও ১৭ দশমিক ৯ শতাংশকে বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ দেয়া হয়েছে। টিকার বৈশ্বিক অপ্রতুলতা সত্ত্বেও সরকার দেশের আপামর জনসাধারণকে কভিড-১৯ টিকা প্রদানে বদ্ধপরিকর।

দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে বুস্টার ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলাগুলোর ওয়ার্ড পর্যায়ে কভিড-১৯ টিকা দেয়া হবে।ads

স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ক্যাম্পেইনের জন্য সারা দেশে ১৬ হাজার ১৮১টি টিকা কেন্দ্রের (৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫ হাজার ৫৫৮টি অস্থায়ী) ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে ৩৩ হাজার ২৪৬ জন টিকাদান কর্মী ও ৪৯ হাজার ৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। ক্যাম্পেইনে দ্বিতীয় ডোজ প্রাপ্তির চার মাস অতিবাহিত হয়েছে, এমন ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী বুস্টার ডোজ ও প্রথম ডোজ প্রাপ্তির নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও যারা দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেননি এমন ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবে। শিগগিরই দেশের ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদেরও কভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।