বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক উন্নয়নের সার্থে আগামীতেও দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার দেশরত্ন শেখ হাসিনার উপরই দিতে হবে। তাঁর কোন বিকল্প আমাদের নেই। দেশরত্ন শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে একটি শক্ত অর্থনৈতিক কাঠামোর উপর দাঁড় করিয়েছেন। বাংলাদেশের পায়ের নিচে শক্ত ভিত নির্মিত হয়েছে। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই বিপদ যেন বাংলাদেশের পিছু ছাড়ছে না। জঙ্গিবাদের উত্থান, দুই দফা বন্যা, বন্যার ফলে ব্যাপক ফসলহানি, অতিবৃষ্টির ফলে পাহাড় ধস তাতে অনেকগুলো মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সর্বশেষ রোহিঙ্গা সমস্যা। একের পর এক অঘটন।
এতো কিছুর পরেও সবগুলো সমস্যা ঠাণ্ডা মাথায় দমন,নিয়ন্ত্রণ করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। দেশের অভ্যন্তরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
দেশের মধ্যে উন্নয়নের যে মহাযজ্ঞ চলছে এটাকে ধরে রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের কোন বিকল্প নাই। কারণ যে সমস্ত সেক্টরে কাজ চলছে সেই কাজগুলো শেষ করতে বা স্বচল রাখতে এই সরকারকেই প্রয়োজন। আমাদের দেশে অপসংস্কৃতি আছে সেটা হলো এক সরকারের কাজ অন্য ধরে না বরং কাজগুলো বন্ধ করে দেয় তাতে ক্ষতিটা দেশের হয়, দেশের সাধারণ জননগণের হয়। তাই আগামী নির্বাচন হবে সাধারণ জনগণের নির্বাচন। সাধারণ জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ অনেকগুলো মাইলফলক অর্জন করবে। সেটা হবে অর্থনৈতিক, সামাজিক,রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে। আর সাধারণ জনগণের সরকার হবে আওয়ামী লীগ, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার।
সারা বিশ্বে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আজ প্রশংসিত। আন্তর্জাতিকভাবে সব অঞ্চলের দেশের সাথেই বাংলাদেশের সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন সরকারের একটা কাজ করা উচিত সেটা হলো দেশের অভ্যন্তরে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা ভাঙতে হবে। অর্থাৎ এক সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে পড়ে। ফলে সমাজে অতি উচ্চবিত্ত ও অতি নিম্নবিত্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই সরকারের উচিত হবে আগে থেকেই এই পুঁজিবাদী চক্রকে ভেঙে দেওয়া। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে যেন অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সমাজের মধ্যে শ্রেণি বৈষম্য কমানোর সুযোগ রয়েছে। শুধু তদারকির জন্য সঠিক জায়গায় সঠিক লোক বসাতে হবে। তাহলে সমাজের সকল শ্রেণি পেশার লোক উপকার পাবে। সাধারণ মানুষ দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে এটাই আশা করে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ভালবাসার নাম শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা তাঁর মানবিক গুণ, নেতৃত্ব গুণাবলী দিয়ে সে বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। এ ভাবে সঠিক পথে থাকলে আওয়ামী লীগের ভয়ের কোন কারণ নেই। জনগণের রায় নৌকার পক্ষেই হবে।
লেখকঃ দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।