প্রভাষ আমিন
২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে বসেছিল সুন্দরীদের জমকালো আসর। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষ। সেরা ১০ সুন্দরী মঞ্চে। ২৫ হাজার প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্য থেকে এবার সেরা বেছে নেওয়ার পালা। টান টান উত্তেজনা। ভারত থেকে আনা উপস্থাপিকা শিনা চৌহান ঘোষণা করলেন এবারের মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ- হিমি। ঝলমলে চেহারার জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি মঞ্চে সেলিব্রেট করলেন, অভিনন্দন নিলেন, গোটা বাংলাদেশটাই যেন তার। কিন্তু এই বাংলাদেশটা হিমির দখলে থাকলো মাত্র ৩১ সেকেন্ড। উপস্থাপিকা নন, বিচারক নন; মঞ্চ দখল নিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজের স্বপন চৌধুরী। তিনি জানালেন, সরি ভুল হয়েছে। হিমি নন, মিস ওয়ার্ল্ড জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। মুহূর্তে পাল্টে গেলো মঞ্চের অবস্থা। অন্ধকার নেমে এলো হিমির চেহারায়। একটু আগে যে সূর্যটা হিমির মুখে, নিমেষেই তা চলে গেলো এভ্রিলের চেহারায়। বড় বড় আসরেও ভুল হয়, এমনকি অস্কারেও হয়। কিন্তু এভাবে একজন ব্যক্তির কাছ থেকে নিমেষেই মুকুট কেড়ে নেওয়ার ইতিহাস বিরল। মঞ্চের এই ৩১ সেকেন্ডের ভুলের নাটকই ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর আয়োজকদের অদক্ষতার প্রমাণ হয়ে থাকতে পারতো। কিন্তু এরপর একের পর এক বিতর্কের ঢেউ সেই মারাত্মক বড় ভুলটিকে আড়াল করে দিলো। গণমাধ্যমে বিচারকরা স্পষ্ট করেই বললেন, ঘোষিত সুন্দরী তাদের রায়ের সঙ্গে সমান্তরাল নয়।
বিচারকদের এই ভিন্ন অবস্থান আড়াল করে দিতে এলো চূড়ান্ত ক্লাইমেক্স। জানা গেলো স্বপন চৌধুরী ঘোষিত মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ এভ্রিল চার বছর আগে বিয়ে করেছিলেন। গণমাধ্যম আর সামাজিক মাধ্যম এভ্রিলের বিয়ের ভিডিওতে সয়লাব। তথ্য গোপনের দায়ে কেড়ে নেওয়া হলো এভ্রিলের মুকুট। চারদিনের মাথায় ঘোষণা করা হলো নতুন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের নাম- জেসিয়া ইসলাম। একজন বিচারক জানালেন, ৪ অক্টোবর রাত ১২টার মধ্যেই মিস ওয়ার্ল্ড আয়োজকদের কাছে নাম পাঠাতে হবে। তাই সেদিন মঞ্চে উপস্থিতদের মধ্য থেকেই বেছে নেওয়া হয়েছে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ। একটি প্রতিযোগিতায় চারদিনের মধ্যে তিন সুন্দরীর নাম ঘোষণা অবশ্যই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ঠাঁই পাওয়ার মতো কেলেঙ্কারি। এমন লেজেগোবরে আয়োজনের জন্য অন্তর শোবিজ’কে নিষিদ্ধ করা উচিত। অন্তর শোবিজের স্বপন চৌধুরী নাকি কোনও এক টিভিতে বলেছেন, এই আয়োজনে তার বিশাল ইনভেস্টমেন্ট। তাই সুন্দরী নির্বাচন তিনিই তো করবেন। খুব ঠিক কথা। তিনিই করবেন, তিনি করেছেনও। কিন্তু তিনিই যুদি করবেন, তাহলে আর এত আয়োজনের কী দরকার ছিল? কী দরকার ছিল ২৫ হাজার প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতারণার? তিনি তার বাসায় সুন্দরী নির্বাচন করে প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে দিলেই পারতেন।
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, স্বপন চৌধুরী ইচ্ছা করেই এই বিতর্ক তৈরি করেছেন, উস্কে দিয়েছেন। যে কাভারেজ তিনি পেলেন, নরমাল আয়োজন হলে তার শতভাগেরও এক ভাগও পেতেন না। এই যেমন আমি বিতর্ক শুরুর আগ পর্যন্ত এই আয়োজন সম্পর্কে আমি তেমন কিছুই জানতাম না। বিতর্ক শুরুর পর আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে আয়োজনের সব অন্ধকার। অনেকে মনে করেন, প্রচারটাই আসল, যেভাবেই হোক। কিন্তু সব প্রচারণাই যে আখেরে ভালো ফল বয়ে আনে না, সেটা কে বোঝাবে। সব দেখেশুনে আমার কাছে সুন্দরীদের জমকালো মেলাকে আমার কাছে এখন যম-কালো মনে হচ্ছে।
এর আগে বিচ্ছিন্নভাবে কেউ কেউ বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিক আয়োজন করে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ বাছাই করা সম্ভবত এবারই প্রথম। প্রথম আয়োজনটাই এমন উল্টাপাল্টা করে আয়োজতকরা বুঝিয়ে দিলেন এত বড় আয়োজনের সামর্থ্য তাদের নেই।
ব্যর্থতার জন্য, অদক্ষতার জন্য স্বপন চৌধুরীরই বিতর্কের কেন্দ্রে থাকার কথা। কিন্তু নারী না হলে বিতর্কটা ঠিক জমে না। তাই বিতর্কের কেন্দ্রে এভ্রিল। তাকে নিন্দা মন্দ করার লোকের যেমন কমতি নেই। তেমনি তার সংগ্রামী জীবনের পাশে দাঁড়ানোর লোকেরও অভাব নেই।
তবে গোটা আয়োজনে সহানুভূতি যদি কেউ দাবি করে, তবে তিনি হিমি। মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ হিসেবে নাম ঘোষণা এবং ৩১ সেকেন্ড পরই তা কেড়ে নেওয়া; ৩১ সেকেন্ডের মধ্যেই আনন্দ বেদনার দুই চূড়ান্ত রূপ দেখে ফেলা এই বাচ্চা মেয়েটার মনের অবস্থাটা কেউ ভেবেছেন? তার অপরাধ কী? ভুল যদি করে থাকেন, সেটা উপস্থাপিকা করেছেন, নইলে বিচারকরা করেছেন, নইলে স্বপন চৌধুরী করেছেন। হিমিকে কেন ভরা মজলিশে এমন অপমানের মুখে পড়তে হবে? জান্নাতুল সুমাইয়া হিমির জন্য আমার সকল সমবেদনা, সকল ভালোবাসা। ৩১ সেকেন্ডে পৃথিবী বদলে যাওয়ার পরও যে মেয়েটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছিল, মনের দুঃখ আড়াল করে চেহারায় হাসি হাসি ভাব ধরে রাখতে পেরেছিল; তার জন্য তাকে ধন্যবাদ। তার প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে, তার পূরণ হতে পারতো এভ্রিলের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া মুকুটটি হিমির মাথায় পরিয়ে দিলে। কিন্তু অনুপস্থিতির অজুহাতে তাকে বিবেচনায়ই নেওয়া হলো না। গোটা আয়োজনে অন্যায় যতি কারো প্রতি হয়ে থাকে, সে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। ৪ অক্টোবরের দ্বিতীয় আয়োজনে তিনি না এসে খুব ভালো করেছে। সে যে আরেকদফা তাকে অপমান করার সুযোগ দেয়নি, সেজন্য তাকে ধন্যবাদ।
প্রথম ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর আয়োজন নিয়ে দারুণ একটা সিনেমা হতে পারে। এত নাটকীয়তা কোনও চিত্রনাট্যকারর কল্পনাতেও থাকে না। এই সিনেমার নায়িকা জেসিকা ইসলাম। ট্র্যাজিক নায়িকা জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। আর মূল চরিত্র জান্নাতুল নাইম এভ্রিল। তার বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার এক গ্রামে। গ্রামের দুরন্ত চঞ্চল মেয়ে জান্নাতুল নাইম আমেনার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল তার এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের আগেই। পত্রিকার খবর অনুযায়ী তার বিয়ে টিকেছিল আড়াই মাস। এই আড়াই মাস তিনি পোশাক ব্যবসায়ী স্বামীর সংসার করেছেন। আর জান্নাতুল নাঈমের দাবি, তিনি বাল্য বিয়ে মেনে নিতে না পেরে বিয়ের আসর থেকেই পালিয়েছেন। একদিনও সংসার করেননি। তার দাবি সত্য বলেই মেনে নিচ্ছি। তিনি জানিয়েছেন, পালিয়ে আসার পর তাকে ত্যাজ্য করা হয়েছিল। চট্টগ্রামের চন্দনাইশের গ্রামের একটি এসএসসি পাস মেয়ে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে চলে এলেন। তার চারবছর পর সবাই তাকে আবিষ্কার করলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ–এর মঞ্চে, একদম মুকুট মাথায়। তার এই সংগ্রাম অবশ্যই অসহায় নারীদের অনুপ্রাণিত করতে পারতো, যদি কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর মিলতো। কিভাবে অজপাড়াগার ‘বাপে খেদানো মায়ে তাড়ানো’, এসএসসি পাস একটি মেয়ে ঢাকায় এসে আমেনা থেকে এভ্রিল বনে যায়, টপ লেডি বাইকার হয়ে চমকে দেয়, ২৫ হাজার মেয়েকে টপকে সেরা সুন্দরী হয়ে যান? কোন আলাদিনের চেরাগ পেয়েছিলেন এভ্রিল? সংগ্রামের পথে যদি এমন লিফট লাগানো থাকে, তাহলে গ্রামের মেয়েরা দলে দলে ঢাকায় চলে আসবে।
ঢাকায় সত্যিকারের সংগ্রাম করে বড় হওয়া অনেক নারী-পুরুষকে আমি চিনি। কারো সংগ্রামের পথই এমন কুসুমাস্তীর্ণ নয়। সবাইকে সংগ্রামের দীর্ঘ কন্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে হয়। এভ্রিলের মতো এমন লটারি পাওয়া ভাগ্য ক’জনের হয়? জান্নাতুল নাইম এভ্রিল দাবি করেছেন, তিনি অসহায় নারীদের জাগাতে কাজ করছেন, যে বাবারা মেয়েদের বাল্য বিয়ে দিতে চান, তাদের জাগাতে কাজ করছেন। অবশ্যই তার এই লড়াইয়ে আমি তার সঙ্গে আছি। আমিও চাই বাংলাদেশের মেয়েরা অল্প বয়সে বিয়ে করে, নিছক বাচ্চা-কাচ্চা লালন-পালন করে তাদের জীবনটা শেষ না করে, নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে জেগে ওঠুক। কিন্তু বাল্যবিয়ের খবর গোপন করে বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা যায় না। পেছনে অন্ধকার গোপন করে আলোর পথে যাওয়া যায় না। কার্পেটের নিচে ময়লা লুকিয়ে রাখলেই রুম পরিষ্কার হয় না। অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়াতে হলে, আপনাকে সততা নিয়ে তাদের কাছে যেতে হবে। আপনি মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন কী নেবেন না, সেটা আপনার বিবেচনা। কিন্তু অংশ নিলে আপনাকে তাদের নিয়ম মেনেই করতে হবে। বিবাহিতরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না, এটাই নিয়ম। সেই নিয়ম আপনাকে মানতেই হবে। নইলে এভাবে শেষ মুহূর্তে আপনার স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে যাবে।
আমি সুন্দরের পুজারী। নারী হোক, পুরুষ হোক, প্রকৃতি হোক; সৌন্দর্য আমি ভালোবাসি। কিন্তু যে স্টাইলে বিশ্বজুড়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতা হয়, আমি তার সঙ্গে একমত নই। সুন্দরী প্রতিযোগিতা করে আসলে নারীদের সম্মানিত করা হয় না, অপমান করা হয়। কারণ পুরো প্রতিযোগিতাটাই শরীরসর্বস্ব। উচ্চতা, বুকর মাপ, কোমরের মাপই হলো এ প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বিবেচনা। তারপর তাদের মুখে কিছু ইংরেজির ফটাফট আরোপ করে একধরনের স্মার্টনেসের আবরণ দেওয়া হয়। ব্যস! হেলেদুলে মঞ্চে হাঁটতে পারলে, বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে বিচারদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেই হলো। এরচেয়ে বড় অপমান আর কি হতে পারে। আমি কখনও একজন মানুষের সৌন্দর্য তার চেহারা বা ফিগার দিয়ে বিবেচনা করি না। মানুষের আসল সৌন্দর্য মানুষের ব্যক্তিত্বে, শিক্ষায়, মানবিকতায়, জ্ঞানে। ধরুন একই রকম দেখতে দুই জমজ বোনের একজন গ্রামে বড় হলো, পড়াশোনা করার সুযোগ পেলো না। আরেকজন শহরের ভালো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ার সুযোগ পেলো। দু’জন দেখতে হুবহু একইরকম। আপনি কাকে সুন্দর বলবেন? ঘষেমেজে, প্লাস্টিক সার্জারি করে চেহারা বদলে ফেলা যায় বটে, কিন্তু সৌন্দর্য কি আমাদানি করা যায়? কয়েকদিন আগে নায়ক রাজ রাজ্জাকের মৃত্যুর পর তসলিমা নাসরিন লিখেছিলেন, বুড়ো রাজ্জাক দেখতে কুৎসিত। কিন্তু বুড়ো হলেই মানুষ কুৎসিত হয়ে যায় না। সেটা আপনার চোখের সমস্যা। কয়েকদিন আগে শর্মিলা ঠাকুর বাংলাদেশে এসেছিলেন এক অনুষ্ঠান। আমার এক বন্ধু তাকে কাছ থেকে দেখেছেন, কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। সে বন্ধুর উচ্ছ্বাস দেখে আমি খোঁচা মারলাম, এই বুড়ির মধ্যে আপনি কী পেলেন? সে বন্ধু যে জবাব দিলেন আমার কাছে সেটাই সৌন্দর্য- ব্যক্তিত্ব। প্রবল চৌম্বকীয় আভিজাত্য। যদি বুড়ো হলেই মানুষ কুৎসিত হয়ে যেতো, তাহলে কারো সংসারই টিকতো না। দিনের পর দিন সংসার করতে করতে মানুষ তার সঙ্গীর ভেতরের সৌন্দর্যের দেখা পায় বা আবিষ্কার করে বলেই বছরের পর বছর সংসার টিকে থাকে।
কিন্তু বর্তমানে বিশ্বে সুন্দরী মানেই ধারালো ফিগার, টানা চোখ, চিকন ঠোঁট, লম্বা চুল, মসৃন ত্বক ইত্যাদি ইত্যাদি। আর সুন্দরীদের বিবাহিত হওয়া চলবে না। যেন বিয়ে হলেই নারীর সৌন্দর্য্য শেষ হয়ে যায়। কী হাস্যকর মানদণ্ড। এই মানদণ্ডের পেছনে লুকিয়ে আছে, এক ভয়ঙ্কর নারী অবমাননা। আসলে নিছক অবিবাহিত নয়, তারা চায় কুমারী, মানে একদম অনাঘ্রাতা। এ ‘অনাঘ্রাতা’ শব্দটা গল্প উপন্যাসে পড়েছি। শব্দটি শুধু নারীদের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়। মানে হলো পুরুষ মৌমাছির মতো। সে ফুলে ফুলে উড়ে উড়ে মধু খাবে। তার পছন্দ এমন ফুল, যে ফুলের ঘ্রান কখনও কেউ নেয়নি। একবার কেউ ঘ্রান নিলেই সেই নারী ময়লা। তার সৌন্দর্য শেষ। তার আর কোনও যোগ্যতা নেই। কী ভয়ঙ্কর নারী অবমাননা।
আমি বরাবরই সুন্দরের পক্ষে। আমি চাই সুন্দরী প্রতিযোগিতা হোক, সুন্দর প্রতিযোগিতা হোক। বড় জোর বয়সভিত্তিক হতে পারে। কিন্তু শরীর সর্বস্ব প্রতিযোগিতা বন্ধ হোক। আমাদের দেশের নারীর যেন এই অবমাননার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। নারীর সকল সংগ্রামে, বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে, সমাজের নানা প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে, ধর্মের নামে তাদের আটকে রাখার চেষ্টার বিরুদ্ধে সংগ্রামে আমরা অবশ্যই তাদের পাশে আছি। এভ্রিল তার অতীত স্বীকার করে, এগিয়ে চলুক। অসহায় মেয়েদের পাশে থাকুক। তার স্বপ্নপূরণে আমরাও তার পাশেই থাকবো।
লেখক: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ
probhash2000@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ০৫ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/সাদ