তপন মাহমুদ লিমন :ঝুকিঁ নম্বর ২: পুরুষ নারীর প্রশংসা করবে। তার শরীর নিয়ে বলবে। মন নিয় বলবে। চিন্তা নিয়ে বলবে। কাজ নিয়ে বলবে। এটাই স্বাভাবিক। যেমন স্বাভাবিক, পুরুষেরও প্রশংসা করবে নারী। তার শরীর নিয়ে বলবে। মন নিয় বলবে। চিন্তা নিয়ে বলবে। কাজ নিয়ে বলবে।
আর ভাষা কি হবে,কেমন হবে তা নারী পুরুষ তার শব্দভান্ডার, বোধ, বিবচনা, সংস্কৃতি প্রভৃতি দিয়ে ঠিক করবে। কে কতটা সংযত বা খোলা হবে, তা আসলে ঠিক করবে পরিস্থিতি। যুগ যুগ ধরে কবি সাহিত্যিকরা, সাধরণত পুরুষরা, নারীকে নানাভাবে তুলে ধরেছেন।
নারীরা তাতে যে সব সময় বেজার হয়েছন তা নয়। এখন একটা সংকট হলো,নারীরা খুব একটা পুরুষের সৌন্দরয নিয় কলম ধরেন নি। বা বলেননি। পুরুষতান্ত্রিক ফ্রেমওয়ারকে তারা পুরষের শক্তিকেই দেখেছেন সৌন্দরয হিসেবে। এই বাইনারি থেকে নারী পুরুষ কেউ বের হতে পারেন নি। যে লোকটা সায়ীদ স্যারের লেখা নিয়ে চরম সমালোচনা করছেন,দেখা গেলো সে নানা গল্প উপন্যাস কবিতা এমন অনেক বরননা পড়েছেন। আনন্দ পেয়েছন। সে নিয়ে কোথাও দুচার লাইন বলেননি বা লিখেন নি। কিন্তু ফেসবুকের জামানায় এসে প্রচন্ড সমালোচক বনে গেলেন। হয়তো সিনেমার অপ্রয়োজনীয় যৌন-আবেদনময়ী দৃশ্য দেখতে দেখতেই ভেবে নিচ্ছেন, শাড়ী বিষয়ে কি সমালোচনা করবেন? আমি এই বিষয়ে এমন দ্বিচারী লোকজনকে বেশি সমালোচনা করতে দেখেছি।অনেকে তো এমন সাধু সাজছেন যে, মনে হবে নাক চিপলে দুধ বের হবে আর কি! একদম মিনারেল ওয়াটারে ধোয়া তুলসি পাতা।