চট্টগ্রামে মাদক ব্যবসার নেপথ্যে রয়েছে দাগি ও শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। নিজস্ব লোক দিয়ে কক্সবাজার, টেকনাফসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে আনা হচ্ছে এসব মাদক।
সমাজে এসব মাদক ছড়িয়ে পড়ার কারণে দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে উঠতি বয়সি যুবকরা। আবার ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক চট্টগ্রাম হয়ে ট্রেন ও পরিবহণ যোগে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
চট্টগ্রাম মেট্টো উপ-অঞ্চলের সদস্যদের নেতৃত্বে নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার ও নিউ মার্কেট এলাকা থেকে গতকাল সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযানে প্রায় ৮ হাজার ২’শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় রোহিঙ্গা শরণার্থী যুবক (নম্বর ৫৫৬০১) ও মহিলাসহ পাঁচ মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ।
তিনি বলেন, গ্রেফতার রোহিঙ্গা যুবক রশিদ আহমেদ (২৫) টেকনাফ নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা। গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন, ইয়াসমিন আক্তার (২১), নুরুল আলম (৩৩), জামাল হোসেন (২৬) এবং মো. হালিম (৩২)। তারা সবাই টেকনাফের বাসিন্দা। প্রথমে দুই হাজার ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা যুবক রশিদ ও ইয়াসমিনকে আটক করা হয়। পরে নিউ মার্কেট এলাকা থেকে অন্য তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৬ হাজার ২’শ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। পেটের ভিতর করেই এসব ইয়াবা পাচারের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম হয়ে ট্রেন যোগে ঢাকায় নেয়ার প্রস্তুতি চলছিল। তবে রশিদ ও ইয়াসমিনের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা পাচারের তথ্যটি ফাসঁ হয়ে যায় বলেও জানান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম নগরীর চট্টগ্রাম রেলষ্টেশন, বরিশাল কলোনীসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে একটি চক্র ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ নানাবিধ অপকর্মের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে। এসব অবৈধ কাজের নেতৃত্বদানকারী মনছুর, খসরু, মোহাম্মদ আলীসহ বিশাল একটি সিন্ডিকেট। মনছুর ইয়াবা, ফেনসিডিল ব্যবসার আড়ালে অবৈধভাবে রেলের জায়গা দখল করে বস্তিও তৈরি করেছে। এসব বস্তিইে রাতের অন্ধকারে কৌশলে পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইয়াবাসহ অপকর্মগুলো প্রতিনিয়ত করে চলেছে। প্রশাসন নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে