জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক দাম এবং ভোলায় ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ধাওয়ি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটার পাশাপাশি শটগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।
আজ শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ৪টা ৩০ মিনিটের সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর বাস ভবনে উপজেলা বিএনপি’র আলোচনা সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হয়ে প্রধান সড়কে যেতে চাইলে ভাসাইন্নর দোকান এলাকায় পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতাহাতি হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাবার বুলেট ছুড়ে। এরপর ঘন্টাখানেক দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে পুরা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এসময় সংঘর্ষে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) হুমায়ন কবির, বাঁশখালী থানার (ওসি) মো. কামাল উদ্দীন, পুলিশ ও বিএনপি’র অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, পুরা বাঁশখালী থমথমে বিরাজ করছে, এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ।