চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজার এর পশ্চিমে এ দীর্ঘদিনের পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ এটি।এটি ৩টি সরকারি ও আধা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী এবং ওপারে পশ্চিমে ৫টি গ্রাম, ২টি বনবিট ও ১টি রাবার বাগান সহ প্রায় ৫০হাজার মানুষের যাতায়াতের সংযোগস্থল এই ব্রিজটি।
যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন বৃদ্ধ, তরুন,শিশু মিলিয়ে অন্তত ১৫-২০ হাজার পথচারী যাতায়াত করে ।সেতুটির দুইপাশে কোন রেলিং নাথাকায় এবং প্রশস্ততা কম হওয়ায় প্রায় ঘঠছে দূর্ঘটনা।এছাড়া সেতুটি দিয়ে বড় কোন যান চলাচল করতে পারেনা। এছাড়া ব্রিজটির নিচের অংশে পিলার গুলো অনেকটা সরে গেছে।
এদিকে শান্তিরহাট উঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আবদুল বারেক গত দুই যুগ ধরে সংস্কারহীনতার কথা তুলে ধরে সংবাদিক মোঃ ইফতেখার কে বলেন, এর আগে সেতুটি থেকে অত্র বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীসহ একাধিক শিক্ষার্থী রিক্সাসহ ব্রিজটি হতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু বরণ করেন।এমনকি দূর্ঘটনার শিকার হন মাদ্রাসা শিক্ষক,পথচারী শিশু ও মটরসাইকেল চালক।
অপরদিকে শাঃ মিসকাতুননবী দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক জনাব মহিউদ্দিন ও মাওলানা মাহবুবুর রহমান(শিক্ষক) জানান ; আর একটু সামনে এগিয়ে গেলে কাছের খিলে(স্থানের নাম) আর একটি ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট যার পাশেই বৃষ্টির পানিতে সৃষ্টি হয়েছে ১০০ফুটের মত বড় একটি খাদের (ডানে)!
যা দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন, অন্তত হাজার হাজার স্কুলগামী শিক্ষার্থীর দূর্ঘটনার কথা বিবেচনায় এনে উপজেলা প্রশাষনকে উদ্যেগ নিবার অনুরোধ জানান।
কার্যত এ দুটি ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজন খুব জরুরী হওয়ায় এ বিষয়ে দুটি প্রস্তাবনা দাঁতমারা ইউনিয়ন থেকে এলজিআরডি নিকট পাঠানো হলেও এখনো কোন ফলাফল না আশায় হতাশা প্রকাশ করে অনেকে।
এদিকে কবে নাগাদ কাজ হতে পারে তা এখনো নিশ্চিত না হলেও এক প্রশ্নের জবাবে, স্থানীয় চেয়ারম্যান জনাব জানে আলম মুঠোফোনে বলেন আশা করি ব্রিজ দুটির কাজ ২০১৯ এ অর্থবছরের মধ্যেই হবে ।
উল্লেখ্য প্রায় নব্বই দশক থেকে সংস্কারহীনতায় থাকা এ দুটি ব্রিজ খুবি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুনভাবে নির্মাণের দাবি করে আসছে অত্র এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ ।