চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ কর্মী খোরশেদ আহমেদ নিহত হয়েছেন।আজ রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে বলে র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
র্যাব সূত্র জানায়, খোরশেদের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র আইন এবং চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলা রয়েছে। তাঁর বাড়ি নগরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের অদূরে মোগলটুলী এলাকায়। আগ্রাবাদ ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে খোরশেদের বিরুদ্ধে।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত একজন কাউন্সিলরের সঙ্গে খোরশেদের সখ্যতা ছিল। সেই কাউন্সিলরের হাত ধরে অপরাধ জগতে তাঁর প্রবেশ ঘটে। একপর্যায়ে খোরশেদ বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি নিজেকে যুবলীগের মোগলটুলী ওয়ার্ড শাখার সহসভাপতি বলে দাবি করতেন। খোরশেদের সঙ্গে স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধিও চাঁদাবাজিতে নামেন। আগ্রাবাদ এলাকার প্রতিটি দোকান এবং ফুটপাতের হকার থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং এলাকাবাসী তাঁদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। সম্প্রতি গ্রুপ পরিবর্তন করে সাবেক একজন কাউন্সিলরের সঙ্গে হাত মেলান তিনি।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুবুল আলম বলেন, খোরশেদ আহমেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র আইন ও চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলা ছিল। এ ছাড়া এলাকায় নিয়মিত চাঁদাবাজি করতেন খোরশেদ। মাহবুবুল আলম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, খোরশেদকে ধরতে গেলে তিনি গুলি ছোড়েন। এ সময় র্যাব পাল্টা গুলি ছুড়লে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। একপর্যায়ে খোরশেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
চট্টগ্রামের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান ফারুকী জানান, আগ্রাবাদ ট্রেড সেন্টারের সামনে র্যাব সদস্যদের সঙ্গে খোরশেদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলে তিনি মারা যায়। তাঁর বিরুদ্ধে সদরঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা ছিল।
:প্রথম আলো