কুমিল্লা চিড়িয়াখানার একমাত্র আকর্ষণীয় প্রাণী এই যুবরাজ সিংহ। উঠে দাঁড়াতে পারে না। তার খাচার অবস্থাও একেবারে বেহাল। খাচার ভেতর ঢুকে পড়ে বিভিন্ন পশুপাখি। যুবরাজের এমন বেহাল দশা যে বিড়ালও ভয় পায় না তাকে। দেখতে বিড়ালের চেয়েও করুণ এই যুবরাজ। তার সামনে খাবার হিসেবে মুরগি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রুচি নেই যুবরাজের।
কিন্তু ১২ বছর ধরে সে ভীষণ অসুস্থ। উঠে দাঁড়ানোর শক্তিটুকু অবশিষ্ট নেই। বর্তমানে এই প্রাণীটি তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এদিকে পুরো চিড়িয়াখানার ভেতরের চিত্র এখন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। যে স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের সমাগম ছিল, সেসব স্থান অযত্ন-অবহেলায় এখন ভাগাড়ে রূপ নিয়েছে। কিছুদিন আগে বিশাল অজগর সাপটিও মারা গেছে। আর ১৪ বছর আগে মারা গেছে একমাত্র রয়েল বেঙ্গল টাইগারটি। বর্তমানে এই চিড়িয়াখানায় আট-দশটি বানর, দুটি হরিণ, দুটি ঘোড়া ছাড়া আর কিছুই নেই। সব খাঁচাই এখন শূন্য।
কুমিল্লা চিড়িয়াখানায় দেখা যায়, ভেতরের সব জায়গাই জরাজীর্ণ। ডোবা আর আগাছায় পূর্ণ হয়ে আছে দর্শনীয় স্থানগুলো। নেই কোনো দর্শনার্থী। বিশেষ দিনগুলোতেও বিনোদনপ্রেমীদের আনাগোনা দেখা যায় না। দূরদূরান্ত থেকে আসা কিছু লোক টিকিট কেটে ঢুকলেও হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে তাদের। অনেককে দেখা গেছে দুর্গন্ধে মুখে কাপড় দিয়ে হাঁটতে। সব মিলিয়ে চিড়িয়াখানার অবস্থা এখন নাজেহাল।
কুমিল্লা চিড়িয়াখানার ইজারাদার জানান, চিড়িয়াখানাটির অবস্থা করুণ। আগের মতো এখন আর নেই। দর্শনার্থীদের অনেক অভিযোগ শুনতে হয়। একমাত্র অসুস্থ সিংহ আর কয়েকটি বানর-হরিণ ছাড়া নেই কোনো পশুপাখি। সব জায়গা ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। বেশির ভাগ খাঁচা ফাঁকা পড়ে আছে। রাস্তার অবস্থাও অনেক খারাপ ছিল। তবে সম্প্রতি নতুন করে রাস্তা করা হয়েছে। সীমানাপ্রাচীর ভেঙে গেছে। জেলা পরিষদ উদ্যোগ নিয়েছে নতুন করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, ০১ নভেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ