বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন আহমদ মন্তব্য করে বলেছেন যে, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী পটিয়াকে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছেন। গতকাল বুধবার (৯ জুন) দুপুরে নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বেশ কয়েকবার হুইপ পরিবারের রোষানলের শিকার হন বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন আহমদ।
বিক্ষোভ সমাবেশে সামসুদ্দিন আহমদ বলেন, হুইপ ও তার ভাই নবাব এবং ছেলে শারুন পটিয়াতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। পটিয়ার যত বড় বড় প্রকল্প ছিল সেখান থেকে ২০ শতাংশ কমিশন নিয়েছে সামশু। কেউ সেখানে মাথা তুলে কথা বলতে পারে না। একসময়ে জাতীয় পার্টি করা সামশু এখন আওয়ামী লীগের বড় নেতা। কথায় কথা মুক্তিযোদ্ধাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, অপমান করে। আমি হুইপ সামশুর এমপি পদ থেকে পদত্যাগ দাবি করছি।
এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মান সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবু তৈয়ব বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তার কাছ থেকে পতাকা কেড়ে নেওয়া হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধারা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন। সরকারের প্রতি আবেদন পটিয়ার মানুষের প্রতি যে জুলুম চলছে সেখান থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করুন।
তিনি আরও বলেন, সামশুর বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত করছে। তার বাড়িতে আগে টিনশেড ঘর ছিল এখন সেখানে হয়েছে বিলাসবহুল বাংলো। সে যদি দুর্নীতি না করে তাহলে এত টাকা এলো কোথা থেকে? শুধু তাই নয়, খোঁজ নিলে জানা যাবে, দেশের বাইরেও তার বাড়ি রয়েছে।
ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা আরও বলেন, পটিয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েছেন। প্রতিটি প্রকল্প থেকে ২০ শতাংশ করে কমিশন নিয়েছেন সামশু। আমরা চাই তার বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক। তার আগে কী ছিল এখন কী আছে তা যেন খুঁজে বের করা হয়। আমাদের দাবি তার কাছ থেকে জাতীয় পতাকা ছিনিয়ে নেওয়া হোক। যে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়ে এ জাতীয় পতাকা সেই পতাকা এই হীন ব্যক্তির কাছে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হচ্ছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মান সংরক্ষণ পরিষদের মহাসচিব ও মরহুম জননেতা জহুর আহম্মদ চৌধুরীর পুত্র জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ আজিজের সন্তান ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এর সদস্য সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, সাবেক ছাত্রনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নওশাদ মাহমুদ চৌধুরী রানা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, ব্যারিস্টার শওগত আনোয়ার খান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ এর মহাসচিব উত্তম কুমার বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আলম, অর্থ সম্পাদক সওকত মাসুম, দপ্তর সম্পাদক মো. মনজু, মো. নাসির খান, উজ্জ্বল চৌধুরী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর এর সভাপতি নওশাদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর এর সহ সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে চৈতী বসু, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তি যোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ -সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা (বীর উওম খেতাব) প্রাপ্ত এর সন্তান সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম রসুল নিশান ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, মহানগর এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন দুলাল, ৬ দফা আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার কারণে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাক-হানাদার বাহিনী কর্তৃক ৬ টুকরো করা সাবেক চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দানেশ চন্দ্র দেব নাথ এর ছোট ভাই বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরেশ চন্দ্র দেবনাথ , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার প্রদান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়সাল ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর ও থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে মো. ওসমান গনি, গাজী শোহেন, বাবলু মিয়া, মো. আবাস, আমিনুল, মো. গোলাম নবী, মো. ওসমান গনি, মো. হাবিবুর রহমান, পিমলু, নাঈম উদদীন, আবু তাহের রিপন, জয়নাল আবেদীন, মো. বাহার, জমির উদ্দিন, জসীম উদ্দীন চৌধুরী, মো. ইসমাইল, মো. নাছির উদ্দিন, সমীরণ খাস্তগীর, বিএম জসীম উদ্দিন প্রমুখ।