বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পর এবার সাতকানিয়ায় একটি মাদ্রাসায় চার শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মারধরের পর ছয় বছর বয়সী আব্দুল্লাহ নামে এক শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের গারাংগিয়া রংগিপাড়া হেফজখানা ও এতিমখানায় বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ কামরুল হাসানকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ‘গারাংগিয়া রংগিপাড়া হেফজখানা ও এতিমখানার চার শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় গুরুতর আহত আব্দুল্লাহ নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। সেই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অভিযোগ পেয়ে শিক্ষক কামরুলকে আটক করা হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে পড়া না পারার অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক মো. কামরুল ইসলাম তাকেসহ আরও চার শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করে। শুক্রবার শিশু আব্দুল্লাহ বাড়িতে ফেরার পর তার মা শরীরে মারধরের চিহ্ন দেখতে পান।
এ সময় আব্দুল্লাহ তার মা-বাবাকে জানায়, পড়া না পারার কারণে শিক্ষক তাকে মারধর করেছে। শুধু তাই নয়, মারধরের বিষয়ে বাড়িতে কাউকে না বলার জন্য তাকে নিষেধ করেছে। এর পরপরই আব্দুল্লাহকে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে তাকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। শিশুটি এখনও চিকিৎসাধীন।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমির এক শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিটের ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ ইয়াহইয়াকে আটক করে পুলিশ।