সিআইডির এসআই মো. নওয়াব আলীর কোটিপতি স্ত্রী গোলজার বেগমের (৪৮) বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গোলজার বেগম নগরের খুলশী থানাধীন লালখান বাজার চানমারি এলাকার বাসিন্দা। তিনি মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার স্বামী নওয়াব আলী ঢাকায় সিআইডির এসআই পদে কর্মরত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এসআই মো. নওয়াব আলী দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকার মালিক বানিয়েছেন স্ত্রী গোলজার বেগমকে। মাছ চাষ থেকে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার আয় টাকা করেছেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু বাস্তবে মাছ চাষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
দুদকের তদন্তে জানা যায়, নওয়াব আলীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের কেকানিয়া এলাকায় ২০১৩ সালে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ জমির ওপর একটি দোতলা বাড়ি নির্মাণ, স্ত্রী গোলজার বেগমের নামে সীতাকুণ্ডের ছলিমপুরে ৩৫৪ শতক জমি, নগরের লালখান বাজার এলাকায় পার্কিংসহ ১ হাজার ১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ও ৪ শতক জমি এবং একটি মাইক্রোবাস রয়েছে।
দুদক ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর এসআই নওয়াব আলী, তার স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল-১ চট্টগ্রামের সাবেক অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপংকর ঘোষকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করে। ২৫ ফেব্রুয়ারি ৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক বলেন, দুর্নীতির মামলায় সিআইডির এসআই মো. নওয়াব আলীর স্ত্রী গোলজার বেগম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালতে জামিন আবেদনের শুনানিকালে দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত গোলজার বেগমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ৬ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।