আত্মসমর্পণের পর পুলিশি হেফাজতে ওসি প্রদীপ কুমার

কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে হেফাজতে নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। বর্তমানে বিশেষ নিরাপত্তায় তাকে কক্সবাজার নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অর্থ ও প্রশাসন) আমেনা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে প্রদীপ কুমারকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। তিনি বলেন, ওসি প্রদীপ কুমার চট্টগ্রামের দামপাড়ায় অবস্থিত সিএমপি’র হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। সেখান থেকে তাকে হেফাজতে নেয়া হয়। এখন তাকে বিশেষ নিরাপত্তায় কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে তিনি আত্মসমর্পণ করবেন। তবে এখন তাকে সিএমপির হাতে আটক বা গ্রেফতার বলা যাবে না।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথ জানিয়েছেন, প্রদীপ কুমার চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি সিএমপিকে ফোন করে আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করলে সিএমপি তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় কক্সবাজারে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

এর আগে গতকাল বুধবার (৫ আগস্ট) রাতে প্রদীপ কুমারসহ এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। অবরসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ারের দায়ের করা মামলায় আদালত এ পরোয়ানা জারি করে।

মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকতকে প্রধান আসামি ও টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়। এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।

Scroll to Top