মহামারী করোনার প্রভাবে গোটা দেশেই বিরাজ করছে অস্থিতিশীল পরিবেশ। চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোভিড-নন কোভিড সব ধরণের রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিকেলে কোভিড-নন কোভিড চিকিৎসা সহায়তা আন্দোলনের ব্যানারে নগরের পার্কভিউ হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো ফিরিয়ে দিচ্ছে রোগীদের। চিকিৎসা না পেয়ে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি সাধারণ রোগীরাও চরম হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন।
মানববন্ধনে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরে পর্য়াপ্ত সংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল থাকার পরও রোগীরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেনা। বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১২১টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ১০০ এর উপরে আইসিইউ শয্যা খালি পড়ে আছে। নানা অজুহাতে রোগীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্টের রায়ে সকল রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো আজকে হোটেল ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
নুরুল আজিম রণি বলেন, এই মহামারীর সময়ে ডাক্তাররা চেম্বার বন্ধ করে রেখেছেন। স্বাস্থ্য সেবার জন্য আজকে চট্টগ্রামের মানুষকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এখন পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় অনেক রোগী মারা গেছেন। এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হতে হবে। যোগ করেন নুরুল আজিম রণি।
মানববন্ধনে যুবলীগ, মহানগর ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ, মহসীন কলেজ ছাত্রলীগ, ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
করোনা আইসোলেশন সেন্টার করতে সহযোগিতা না করায় প্রতিবাদ ছাত্রলীগের
করোনা আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করতে সহযোগিতা না করার অভিযোগে বাকলিয়া এলাকার আহাদ কমিউনিটি সেন্টার ও কেবি কনভেনশন সেন্টারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বাকলিয়া থানা ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা।
বাকলিয়ায় ছাত্রলীগের মানববন্ধনবাকলিয়া থানা ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা আহাদ কমিউনিটি সেন্টার ও কেবি কনভেনশন সেন্টারের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
বাকলিয়া ১৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মানিক বলেন, বাকলিয়া থানা ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা উদ্যোগ নিয়ে করোনা আইসোলেশন সেন্টার করতে আহাদ কমিউনিটি সেন্টার ও কেবি কনভেনশন সেন্টার ভাড়ায় চেয়েছিলাম মালিকদের কাছে। কিন্তু তারা করোনা চিকিৎসায় এসব খালি পড়ে থাকা কমিউনিটি সেন্টার দিতে রাজি হননি। আমরা তাদের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়েছি।