করোনা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামেও মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। চট্টগ্রাম নগরীর কয়েকটি থানা এলাকায় বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে। এসব এলাকাকে রেড জোনের তালিকায়ও এনেছে সরকার।
গত দুই মাসে চট্টগ্রাম নগরী ছাড়াও জেলার উপজেলাগুলোতে শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধা আক্রান্ত হয়েছেন। গত ৬ জুন পর্যন্ত নগরীতে ২ হাজার ৮৭৪ জন এবং জেলার উপজেলায় ১ হাজার ৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সবমিলে নগরীতে ৭৩ শতাংশ, উপজেলায় ২৭ শতাংশ আক্রান্ত রয়েছেন। তাছাড়া এ পর্যন্ত (৬ জুন) করোনায় মারা গেছেন ৯৭ জন। এর মধ্যে নগরীতে ৭৮ জন এবং উপজেলার ১৯ জন বলে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীতে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়েছে দামপাড়া এলাকায় এবং প্রথম করোনায় মারা গেছে উপজেলা সাতকানিয়া এলাকায়। এরপর থেকে আক্রান্ত বাড়ছেই। তবে প্রশাসন লকডাউনের পাশাপাশি ছিল কঠোর নজরদারিও। এখনও সেই ধারাবাহিকতায় কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমীন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর ১৬ থানার মধ্যে ১২ থানাই রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্ত কোতোয়ালী থানা এলাকায়। সর্বোচ্চ মৃত্যু পাহাড়তলী এলাকায়। হালিশহর এলাকা রয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর কোতোয়ালী এলাকা। রেড জোনের তালিকায় থাকা খুলশী, আকবরশাহ এলাকায়ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি। অন্যদিকে এ পর্যন্ত (৬ জুন) করোনায় মারা গেছেন ৯৭ জন। এর মধ্যে নগরীতে ৭৮ জন এবং উপজেলার ১৯ জন।
গত ৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় প্রথম করোনা পজিটিভ রোগী মারা যান। বর্তমানে ৬ জুন পর্যন্ত ৯৭ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মারা গিয়েছেন নগরীর পাহাড়তলীতে। সেখানে ৯ জন মারা গেছেন। এরপর হালিশহরে ৮ জন, খুলশী ও আকবরশাহ এলাকায় ৫ জন করে ১০ জন, এর বাইরে চকবাজারে ২ জন, বন্দরে ১ জন, ডবলমুরিং এ ৩ জন, বাকলিয়ায় ২জন, বায়েজিদে ১ জন, পতেঙ্গায় ১ জন, সুগন্ধা-মোহরা এলাকায় ২ জন, লালখানবাজারে ১ জন, মাদারবাড়িতে ২ জন, কদমতলীতে ১ জন, আগ্রাবাদে ২ জন, চান্দগাঁও এলাকায় ১ জন, বহদ্দারহাট এলাকায় ১ জন, পাঁচলাইশ এলাকায় ৩ জন করোনা আক্রান্ত মারা গেছেন।
তাছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল এবং নগরী ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় করোনায় মারা গেছেন ৯৭ জন।