চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদের সিটি কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে প্রস্তুত করা ২৫০ শয্যার করোনা আইসোলেশন সেন্টার ১৫ জুন চালুর ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
রোববার (৭ জুন) বিকেলে টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইসোলেশন সেন্টারটি চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে চসিক আইসোলেশন সেন্টারের জন্য চিকিৎসক, নার্স, বয় নিয়োগসহ তাদের সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম সংযোজনের প্রস্তুতি সুসম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু লকডাউন দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তা মোকাবেলায় আক্রান্তরা যাতে চিকিৎসাসেবা পান তা নিশ্চিত করতে আরো বেশি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। এ ছাড়াও করোনা শনাক্তের জন্য কোথায় সহজে নমুনা পরীক্ষা সম্ভব এবং চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত তথ্যাবলি মানুষ যেন অবগত হতে পারে সেই ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকেও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিএমএ সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, আইটি অফিসার ইকবাল হাসান, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য গবেষক ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রীতি বড়ুয়া, ডা. মোহাম্মদ আলী, ডা. রবিউল করিম, ডা. নাসিম ভূইয়া, চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক ও আবু সাদাত মো. তৈয়ব প্রমুখ।
বিকেলে মেয়র আগ্রবাদের সিটি কনভেনশন হলের প্রস্তাবিত ২৫০ শয্যার করোনা আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।