প্রতিনিয়তই দেশে বেড়ে চলেছে প্রাণঘাতী করোনার তাণ্ডব। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোঃ একরামুল ইসলাম (৪৫) নামে পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টর। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার নমুনা সংগ্রহ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মীরা।
এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ জানান, থানার এসআই মোঃ একরাম গত ৭-৮দিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এ কারণে তাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। গত ১লা জুন থেকে তিনি পৌর সদরের ভূঁইয়া টাওয়ারের ৩য় তলার ভাড়া বাসায় ছুটিতে ছিলেন। তবে সেখানে তিনি একাই থাকতেন। সর্বশেষ শুক্রবার রাতেও তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা। এ সময়ও নিজের অসুস্থতার কথা জানান তিনি। তবে এতটা জটিল অবস্থা কেউ বুঝতে পারেননি। শনিবার সকালে এমরান নিজের শরীর বেশি খারাপ লাগছে বলে ওসিকে জানালে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিনকে জানান। খবর পেয়ে ডা. নুর উদ্দিন অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে নেওয়ার পর ডাক্তাররা পরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে জানান।
জানা গেছে, এসআই ইকরাম কুমিল্লার লাকসাম থানার অতিশপাড়া ইউনিয়নের কাঁঠালপাড়া গ্রামের মৃত শামছুল আলমের পুত্র। ১৯৯৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় সীতাকুণ্ড থানার ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা তাকে ফোন করে জানান একজন সাব ইন্সপেক্টর খুব অসুস্থ বোধ করছেন দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে হবে। খবর পাওয়া মাত্র তিনি ডাক্তারসহ অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে দেন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এখানে পরীক্ষার পর দেখা যায় তিনি মারা গেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমি জানতে পেরেছি তিনি আরো ৮ দিন আগে থেকেই জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তাই মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার রাতে থানার ওসি (ইন্টেলিজেন্স) সুমন বণিক, থানার গাড়ি চালক তোহিদুল ইসলামেরও করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এছাড়া এডিশনাল এসপি শম্পা রানী সাহাসহ কয়েকজন অসুস্থ বোধ করছেন। ফলে থানায় দায়িত্বরত অফিসাররা সবাই উদ্বিগ্ন।