মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দুই মাসের বেশি সময় পর নতুন করে শুরু হয়েছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ওঠানামা।
সোমবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৮ জন যাত্রী নিয়ে বেসরকারি অ্যাভিয়েশন সংস্থা ইউএস বাংলার ফ্লাইট অবতরণ করে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ১৫ মিনিট পর ৩৭ জন যাত্রী নিয়ে আবার ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেয় ফ্লাইটটি। সকাল ৮টায় অবতরণ করে বেসরকারি নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামান গণমাধ্যমকে জানান, করোনা প্রতিরোধে দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় পর আজ থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু হয়েছে। আজ ১১টি ফ্লাইট আসার শিডিউল থাকলেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দু’টি ফ্লাইট স্থগিত রাখা হয়েছে। ইউএস বাংলার ৬টি এবং নভোএয়ারের ৩টি ফ্লাইটের শিডিউল রয়েছে।
তিনি জানান, যাত্রীসহ বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে রয়েছে কঠোর নজরদারিও।
ইউএস বাংলার বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বিমানবন্দরের এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে শুরু করে ফ্লাইটের ভেতর পর্যন্ত জিরো টলারেন্স নীতিতে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে ফ্লাইট অবতরণের পর আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী সব কিছু জীবাণুমুক্ত করে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির সার্টিফিকেট নিয়েই ফিরতি ফ্লাইট উড্ডয়ন করছে। এর জন্য আমরা গ্রাউন্ড টাইম একটু বেশি নিচ্ছি।
তিনি জানান, ইউএস বাংলার ভাড়া বাড়ানো হয়নি। ঢাকা-চট্টগ্রাম ওয়ানওয়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা।
সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে ৯টি আন্তর্জাতিক রুটসহ ১৭ লাখ ৭৮ হাজার যাত্রী গমনাগম করেন। রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, দেশের বেসরকারি উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের বাইরে তিনটি বিদেশি উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের সপ্তাহে ৫৬০টি, দৈনিক ৪০টি ফ্লাইট ওঠানামা করতো যাত্রী ও কার্গো নিয়ে।
২০১৯ সালে ২ হাজার ৬৯৩ টন কার্গো রফতানি ও ৬ হাজার ৮৮১ টন কার্গো আমদানি হয়েছিলো এ বিমানবন্দর দিয়ে। গত ১০ বছরে ফ্লাইট সংখ্যা বেড়েছে ১ দশমিক ৮ গুণ, যাত্রী বেড়েছে ৩ দশমিক ১২ গুণ এবং কার্গো শিপমেন্ট বেড়েছে ৮ দশমিক ৯ গুণ।