চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি পার্সেল ট্রেনে যাত্রী উঠার সময় বাধা দেন ট্রেন পরিচালক বখতিয়ার। এসময় অবৈধ যাত্রীদের হাতে মারধরের শিকারও হন তিনি। এমন কাজ করায় যেখানে পুরস্কৃত হওয়ার কথা সেখানে তিনি হলেন তিরস্কৃত। রেল কৃর্তপক্ষ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
সোমবার (১৮ মে) বিকেল তিনটায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে জামালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার সময় ট্রেনটি পাহাড়তলী স্টেশনে থামে। এসময় কিছু যাত্রী অবৈধভাবে সেখানে উঠতে চায়। দায়িত্বরত ট্রেন পরিচালক মোহাম্মদ বখতিয়ার ট্রেনে না উঠতে অবৈধ যাত্রীদের বাধা দিলে সবাই একজোট হয়ে মারধর করেন তাকে।
এ ঘটনার পরপরই চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। ঘটনা তদন্ত না করেই তড়িঘড়ি করে পরেরদিন মঙ্গলবার (১৯ মে) ট্রেন পরিচালক মোহাম্মদ বখতিয়ারকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, স্টেশন প্লাটফর্মে ট্রেন দাঁড়ানো অবস্থায় স্টেশন মাস্টার ও সহকারী মাস্টারের সব কিছু দেখার দায়িত্ব। ব্লক সেকশনে কোন ঘটনা ঘটলে সেটা গার্ড বা ট্রেন পরিচালক নিজে দেখবে কিন্তু স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকলে তার তদারকির দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে স্টেশন মাস্টারের।
‘পাহাড়তলী স্টেশনের ওইদিনের পার্সেল ট্রেনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই ট্রেনে কে লোক তুলেছে তা বুঝা যাবে। তবুও যখন অবৈধ যাত্রী উঠছে তখন আমি বাধা দিয়েছি। তাদের বাধা দিতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছি। এ ঘটনায় যেখানে আমি বাহবা পাওয়ার কথা, সেখানে আমাকে পরেরদিন সাময়িক বহিষ্কার করলো।’
চট্টগ্রামের রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) সাদেকুর রহমান বলেন, ওই ঘটনা তদন্ত করতে ৪ সদস্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
পরিবহন বিভাগের ডিটিও এবং এডিটিও’র সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।