দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে নমুনা পরীক্ষায় শ্রীলঙ্কান এক নাগরিক আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া সহকারী পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা, কনস্টেবল ও তিনজন কোস্টগার্ড সদস্যসহ নতুন করে আরও ২২ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে পুরনো এক রোগীর নমুনা দ্বিতীয়বার পরীক্ষাতে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ল্যাবে ১২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত শ্রীলঙ্কান নাগরিক চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত। তিনি নগরীর দক্ষিণ খুলশী এলাকায় বসবাস করেন।
বুধবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১২৯ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এর মধ্যে পাঁচ জন অন্য জেলার। মারা যান ৯ জন। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩২ জন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সিভাসু’র ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রামের ১৪ জন, নোয়াখালী জেলার দুইজন, ফেনী জেলার একজন, রাঙামাটি জেলার চারজন এবং লক্ষ্মীপুর জেলার একজন শনাক্ত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আক্রান্তদের মধ্যে কোস্টগার্ডের তিন সদস্যও আছেন। ১১ দিন আগে কোস্টগার্ডের এক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। তাকে রক্ত দেওয়ার জন্য এই তিনজনকে নির্ধারণ করা হয়েছিল। রক্ত দেওয়ার আগে তিন জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষায় তিন জনেরই করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পুলিশের দুইজন আক্রান্ত হন। একজন সিএমপির একটি ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার, অপরজন ট্রাফিক বিভাগের উত্তর জোনে কর্মরত কনস্টেবল। তিনি দামপাড়া পুলিশ লাইনে ট্রাফিক ব্যারাকে থাকেন। দু’জনকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
নগরীর খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘দক্ষিণ খুলশীর একটি বাড়িতে শ্রীলঙ্কান একজন নাগরিক আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। তিনি আগে থেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।’