বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় থাকা কন্টেইনারের ভেতর থেকে পণ্য গায়েবের ঘটনায় ২টি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ এ কমিটিগুলো গঠন করেছে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের উপ পরিচালক মেজর রেজাউল হককে প্রধান করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সোমবার (৪ মে) অতিরিক্ত কমিশনার (জেটি) শামসুজ্জামানকে প্রধান করে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি এমসিসি ড্যানাং জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে ৪০ ফুট দীর্ঘ একটি কনটেইনার আসে। যাতে আইজিএম অনুযায়ী ২৬ হাজার ৩০০ কেজি ফেব্রিক্স (কাপড়) ছিল।
রোববার (৩ মে) কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টেগেশন অ্যান্ড রিচার্স (এআইআর) টিম কায়িক পরীক্ষাকালে কনটেইনারটি খালি পেয়েছে। কর্মকর্তারা দেখেন যে তাতে আসল সিল নেই। এর পরিবর্তে আরেকটি সিল লাগানো। ভেতরে নেই কিছুই। একেবারে খালি।
এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান ৪ গাড়ি পণ্য খালাসের জন্য ৬টি গাড়ি ঢুকিয়ে ওই কনটেইনারের পণ্য নিয়ে গেছে। এর মধ্যে পণ্যসহ একটি গাড়ি বন্দর থানায় আটক রয়েছে।
কাস্টম হাউসের অনুমতি ও শুল্ককর পরিশোধ ছাড়া সিসিটিভি, কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও একটি কনটেইনার থেকে পণ্য গায়েব হওয়ার খবরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।