জুবায়ের আহমেদের জানাজাঃ করোনার উপসর্গ নেই সেই এলাকার বাসিন্দাদের

প্রাণঘাতী করোনার মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের সমাগম হওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় করোনার সংক্রমণ রোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলা গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।

এদিকে, আজ শনিবার শেষ হচ্ছে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন। শনিবার সন্ধ্যায় তাদের কোয়ারেন্টাইন শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মো. মুসা।

এদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, কোয়ারেন্টাইনে থাকা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
গত ১৮ এপ্রিল বেড়তলা গ্রামের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা মাঠে মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজার নামাজে লাখো মানুষের সমাগম হয়। মাঠে জায়গা না পেয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অন্তত দুই কিলোমিটার অংশে জানাজার নামাজ পড়ে মানুষ।

এ অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চলা লকডাউনের মধ্যেই বিপুল এই জনসমাগমের ঘটনায় করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে বেড়তলাসহ কয়েকটি গ্রাম ও আশপাশ এলাকার বাসিন্দাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয় স্থানীয় প্রশাসন।

সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মো. মুসা বলেন, কোয়ারেন্টাইনের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে পুরো উপজেলা আমরা যেভাবে তদারকি করি সেভাবেই বেড়তলাসহ অন্যান্য গ্রামগুলোকে তদারকি করা হবে। তবে গ্রামগুলোতে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, বেড়তলাসহ কোয়ারেন্টাইনে থাকা অন্যান্য গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সেভাবে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। তবে কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মার্কাসপাড়ার নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারী।

Scroll to Top