কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে হাসপাতালের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক নারী কর্মীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুই বখাটের বিরুদ্ধে। গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নাঙ্গলকোট ট্রমা হাসপাতালের ওই নারী কর্মী তিন কন্যা সন্তানের জননী বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত বখাটেরা হলো-ভাতড়া গ্রামের মৃত ছেরু মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম শহিদ ও আবুল হাশেমের ছেলে ফারুক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিন কন্যা সন্তান নিয়ে অভাবের সংসার ওই নারীর। স্বামী অসুস্থ থাকায় নিজেই উপার্জনে নেমে যান। চাকরি নেন নাঙ্গলকোট ট্রমা হাসপাতালে। প্রতিদিন সে একই সময়ে হেঁটে বাড়ি যান। গত সোমবার রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বখাটে শহিদ ও ফারুক তার মুখ চেপে ধরে টেনেহিঁচড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় ওই নারী তার হতে থাকা মোবাইলের আলোতে তাদেরকে চিনে ফেলে। পরে তাদের নাম ধরে চিৎকার করলে ভয়ে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ভাতড়া গ্রামের অভিযুক্ত শহিদকে আটক করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন খন্দকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য একজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়।