করোনা পরিস্থিতিতে বেশি বেশি হাত ধোয়া এবং গোসলের কারণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আরও ৮ কোটি লিটার পানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসায়।
সাধারণ সময়ে চট্টগ্রাম নগরে প্রায় ৪২ কোটি লিটার পানির চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ছুটি এবং লকডাউনের কারণে এর সাথে নতুন করে আরও ৮ কোটি লিটারের ঘাটতি যোগ হয়েছে। তবে চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও উৎপাদন বাড়েনি ওয়াসার। এত চাহিদার বিপরীতে চট্টগ্রাম ওয়াসা সরবরাহ করছে ৩৭ কোটি ৩০ লাখ লিটার। ফলে গ্রাহকদের পড়তে হচ্ছে পানি সংকটে। এরই মধ্যে নগরের বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা দিয়েছে এ সংকট। তাছাড়া অনেক এলাকার পানি লবনাক্ত বলেও অভিযোগ উঠেছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি সাধারণ মানুষ ঘরে থাকায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি খরচ হচ্ছে। তাছাড়া ঘন ঘন হাত ধুতে বলায় আরও বেশি পানি অপচয় হচ্ছে।
এদিকে পানি সংকট থাকলেও ভবিষ্যতে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৬০ জন প্রকৌশলী এবং ২৬০ কর্মীকে বিভিন্ন পানি শোধনাগারে চব্বিশ ঘণ্টার জন্য রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে ৮ ঘণ্টা চাকরি করলেও এ পরিস্থিতিতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে আগামী জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম ওয়াসা বিল পরিশোধে কোন রকম জরিমানা না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সদস্য মহসীন কাজী বলেন, ওয়াসার এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে যে পরিমাণ পানির অপচয় হয় তার পরিমাণ প্রায় পাঁচ লিটার। তাই গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ হাত ধোয়ার সময় হাতে পানি এবং সাবান লাগানোর পর কল বন্ধ রাখুন। পরে হাত ধোয়ার সময় আবার কল চালু করুন। এতে পানি অবচয় আরও কমে আসবে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, আমরা পানি সংকট কাটাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আরও ৮ কোটি লিটার অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হয়েছে। যেসব এলাকায় পানি সংকট রয়েছে সেসব এলাকায় আমার রেশনিংয়ের মাধ্যমে সপ্তাহে ২/৩ বার পানি সরবরাহ করছি।
চট্টগ্রামে ৬৮ হাজার আবাসিক গ্রাহক রয়েছে। মোহড়া পানি শোধনাগার থেকে ৯ কোটি ৭০ লাখ, মদুনাঘাট শেখ রাসেল পানি শোধনাগার থেকে ৯ কোটি লিটার, কর্ণফুলি-১ শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার থেকে ১৪ কোটি ৩০ লাখ এবং গভীর নলকূপ থেকে ৪ কোটি ৩০ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করে আসছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।