আজ চাঁদপুরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আরও দুই জন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার মারা যাওয়া ওই দুই জনের মধ্যে একজনের বাড়ি সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে এবং আরেকজন মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে।
এ ঘটনায় তাদের দুই জনেরই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্যাহ। চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন জানান, ৩০ বছর বয়সী যুবকের শ্বাসকষ্ট ও পেট ব্যথা হলে হাসপাতালে আসার পথে মারা যান। তার বাড়ি সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে। তিনি পেশায় সিএনজি একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন।
তিনি বলেন, যেহেতু ওই এলাকায় আগে থেকেই একটি করোনা পজেটিভ কেইস আছে। এছাড়া করোনায় কারও কারও পেট ব্যথাও হতে পারে। তাই কিছুটা সন্দেহ থাকায় আক্রান্ত রোগীর নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমাদের যারা তাকে কবর দেবে এবং নমুনা সংগ্রহ করবে তারা ওই এলাকায় গিয়েছে। মৃতের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মৃতের দাফন সম্পন্ন করা হবে।
এদিকে, মতলব (উ.) উপজেলার দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ২৬ বছর বয়সী এক যুবক মারা গেছেন। তার বাড়ি দুর্গাপুর ইউনিয়নের শিকারীকান্দি গ্রামে। তার শ্বাসকষ্ট এবং হার্টের সমস্যা ছিল। বাড়িতেই তিনি মারা যান।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুসরাত জাহান মিথেন জানান, আমরা তার নমুনা সংগ্রহ করবো। এরপর নিয়মানুযায়ী দাফন করা হবে।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, গত কয়েকদিনে জেলায় লকডাউনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রায় ১ হাজার ৩০০ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আমরা চাঁদপুর জেলা থেকে যাদের নমুনা পাঠিয়েছি তার মধ্যে এ পর্যন্ত জীবিত এবং মৃত মিলে ৯ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পেয়েছি।
প্রসঙ্গত, এর আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর সদর উপজেলার কামরাঙ্গা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে মারা যান এক যুবক। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এছাড়া মতলব উত্তরেও এক বৃদ্ধা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান।