লক্ষ্মীপুর করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে দুইজন। এরপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনের ১ম দিন চলছে আজ। সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা সচেতনতায় নিরলস কাজ করলেও ত্রাণ সামগ্রী না পাওয়া আর অসচেতনতায় লকডাউন মানছেনা নিম্ম ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষরা। জেলার বিভিন্নস্থানে মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্বও। এতে করে ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডারে ৫৫ বছরের এক বৃদ্ধ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়। এর আগে জেলার রামগঞ্জে ৩২ বছরের এক যুবককে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করে স্বাস্থ্য বিভাগ। করোনা সন্দেহে দুইজনকে রাখা হয়েছে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে।
এরপরই ঝুঁকি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের দাবির মুখে দুপুরে পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পালের স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৩ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে লকডাউন কার্যকরের কথা বলা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত সড়ক ও নৌ-পথে অন্য কোন জেলা হতে কেউ এ জেলায় প্রবেশ করতে বা এ জেলা হতে কেউ অন্য জেলায় গমন করতে পারবেনা বলেও তার আদেশে বলা হয়।
লকযাউনের ১ম দিনে জেলা শহর, সদরের টুমচর, শাকচরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। সামাজিক দুরত্ব মানছে না মানুষ, মুদি দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়, রাস্তাঘাটে চলছে গণপরিবহনও, মাস্ক নেই অনেকের মুখে।
কেউ বলছেন পেটের দায়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন তারা, আবার কেউ বলছেন মাস্ক বাসায় রেখে এসেছেন, আবার কেউবা বলছেন জরুরি প্রয়োজনে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গফফার জানান, অন্য জেলা থেকে যারা আসছেন তারাই করোনা ছড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যে দুইজন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। দুইশতাধিক লোকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই প্রশাসনকে লকডাউন করতে বলা হয়েছে। এতে জেলার সবাই ভালো থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।