ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষের পা কেটে বিজয় উল্লাস করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই কাটা পা নিয়ে গ্রামের অলিগলিতে হয়েছে আনন্দ মিছিল। আজ রবিবার (১২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার থানাকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লু রহমান ও এলাকার সর্দার আবু কাউছার মোল্লার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ইতোমধ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বহু হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এসব বিষয় নিয়ে এলাকায় আগামীকাল সোমবার সকাল ১০ টায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের লোকজনকে নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই আজ রবিবার দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়ানক এক সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়। আহতদের নবীনগর ও জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্নস্থানে প্রেরণ করা হয়েছে। সংঘর্ষকালে ১০-১৫টি বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে কাউছার মোল্লার পক্ষের আবু মেম্বারের নাতি হাজির হাটির জিল্লুর রহমানের পক্ষের লোকেরা মোবারক হোসেনকে (৪৫) ধাওয়া করে। আত্মরক্ষার্থে মোবারক হোসেন বাড়িতে আত্মগোপন করলে বাড়িতে প্রবেশ করে তার ডান পা টাকশাল দিয়ে গোড়ালি থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। পরে তার কাটা পা নিয়ে গ্রামের সড়কে সড়কে মিছিল করে। এ ঘটনায় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নবীনগরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন জানান, সংঘর্ষের পর ২২ জনকে আটক করা হয়েছে। দাঙ্গাবাজদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন আছে। পা কেটে নেয়ার ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।