দুর্ঘটনা দেখতে এসে পেয়ে গেলেন নিজের চাচা-চাচির লাশ

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ‏ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোর রাতে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন তুর্ণা নিশিতা এবং সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষের দুর্ঘটনায় নিহতদের দেখতে এসেছিলেন উৎসুক জনতা হয়ে, সেখানেই পেয়ে গেলেন নিজের চাচা ও চাচির লাশ। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও এলাকার মো. শাহাদতের সঙ্গে।

শাহাদৎ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্দবাগ এলাকায় তিনি ফার্নিচার তৈরির কাজ করেন। কাছেই মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ঘটনার ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করতে। এরপর সেখান থেকে বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন নিহতদের লাশ দেখতে। এসে সেখানে বারান্দায় নিজের চাচা মজিবুর রহমান (৫০) ও চাচি কুলসুমের (৪৩ )লাশ দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।

তিনি আরও জানান, তার চাচা মজিবুর রহমান মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ব্যবসা করতেন। উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে তিনি ও তার স্ত্রী চাঁদপুরে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এদিকে সকালে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাকে ফোন করেন তার চাচাতো ভাই কিন্তু সে তাকে কিছু বলতে পারেনি।

এর আগে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তনগর তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ১৬ জন নিহত ও শতাদিক যাত্রী আহত হন।

Scroll to Top