বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এক নববধূর লাশ রেখে পালিয়েছে স্বামী ও স্বজনরা। নিহত নববধূর নাম দীপা দেবনাথ মমপী (২৮)।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কিশোরগঞ্জের অস্টগ্রামে চিকিৎসক পরিতোষ দেবনাথের মেয়ে দীপা দেবনাথ মমপীর বিয়ে হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরে মৃত অমল চন্দ্র রায়ের ছেলে অপূর্ব রায়ের (২৯) সাথে। বিয়েতে নগদ ৩ লক্ষ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী অপূর্ব রায় ও তার মা প্রতিমা রায় নিয়মিত নির্যাতন করত।
আজ দুপুরে অপূর্ব তার স্ত্রী দীপাকে অসুস্থ অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। এসময় তারা জানায়, দীপা রায় ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন দীপাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলায় চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর খবর জেনে দীপার মরদেহ জরুরি বিভাগে ফেলে পালিয়ে যায় স্বামী অপূর্বসহ স্বজনেরা।
নিহতের পিতা পরিতোষ দেবনাথ জানান, মেয়ের জামাই অপূর্ব দুপুর পৌনে দুইটার মোবাইলফোনে মেয়ে খুবই অসুস্থ বলে জানায়। সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌছে অপূর্বকে বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু তার মোবাইল বন্ধ। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে অপূর্ব রায় ও তার মা প্রতিমা রায়ের নামে হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার এসআই তারেক সুমন জানান, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে এসেছি। বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।