জাতীয়

আগুনে পুড়ে অঙ্গার ধ্বংসস্তুপের মাঝে প্রিয়জনের মরদেহ খুঁজতে যখন ব্যস্ত সবাই তখন দেখা গেল এক সার্জেন্ট তার মোটরসাইকেলটি খুঁজছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে তৈয়েবুর রহমান তপুকে চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডের ধ্বংসস্তুপে নিজের মটরসাইকেলটি খুঁজছিলেন। মটরসাইকেলটি খুজেঁ পাওয়ার পর কথা হয় সার্জেন্ট […]

এক মুহূর্তেই সব পুড়ে ভস্ম। থেমে গেছে ৭০টি জীবন। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন আরো অর্ধশতাধিক। চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড যেন শোকের একুশে ফেব্রুয়ারিকে কান্নার মিছিলের দিনে পরিণত করেছে। জায়গাটি রূপ নিয়েছে মৃত্যুপুরীতে। বাংলাদেশর সব সংবাদমাধ্যমে এখন এই একটিই খবর। নির্মম এই

রাজধানীর চকবাজারের রাজমহল হোটেলের ওপর তলায় থাকতো ফাতেমাদের পরিবার। আগুন লাগার খবর পেয়ে চার বছরের ফিটফুটে শিশু ফাতেমাকে বুকে জড়িয়ে বাঁচার জন্য নিচে নেমে আসেন মা আনিকা তাবাসসুম নেহা। ‘বাঁচাও’, ‘বাচাও’ বলে চিৎকার শুরু করেন। নিজে বের হতে পারছিলেন না।

পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকায় অবৈধ কারখানা উচ্ছেদে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে ক্র্যাশ প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধদের দেখতে এসে এ

রাজধানীর চকবাজার এলাকায় আগুনে পুড়ে ছাই হলেন ঢাবি শিক্ষার্থী হাফেজ মো. কাওসার আহমেদ। তার ওই এলাকায় একটি ফার্মেসির দোকান ছিল। ভর্তি পরীক্ষায় ‘ডি’ ইউনিটে ১৭তম মেধায় ভর্তি হন কাওসার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বন্ধু

পুরান ঢাকার চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনামাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেন। এ সময় তাকে খুব চিন্তিত ও বিমর্ষ দেখা যায়। সারারাত ঘুমাতে পারেননি। নিজেই উদ্ধার অভিযান পরোক্ষভাবে তদারকি করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকা

রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় একটি আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মর্মান্তিক বিবরণ পাওয়া যায় স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে। আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তেই চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত লাশের সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়েছে। কাজেই চকবাজারসহ পুরান ঢাকার বাতাস ছিল শোক

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের মূল গেটের সামনে থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। মসজিদের আশপাশের সব বাড়ি, দোকান ও অন্যান্য স্থাপনা পুড়ে অঙ্গার। অথচ শুধু ব্যতিক্রম চুড়িহাট্টা জামে মসজিদ। অক্ষত অবস্থায় মসজিদটি দাঁড়িয়ে আছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, শাহী মসজিদের নিচ থেকেই

বন্ধু ছিলেন রিয়া ও রিফাত। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। প্রেম থেকে বিয়ে করেন বছর দুয়েক হলো। আর কদিন পরেই প্রথম সন্তানের মুখ দেখতেন তারা। সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন রিয়া। প্রথম বাবা হওয়ার উন্মাদনা কাজ করছিল রিফাতের মধ্যেও। কিন্তু পুরান ঢাকার চকবাজারের

পাঁচ বন্ধু তিনটি মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণ ঘটলে আগুনে দুই বন্ধু রোহান, আরাফাত ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আরাফাত উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে এ লেভেলের শিক্ষার্থী। কাজী আলাউদ্দিন রোড সংলগ্ন আগা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা ছিল আরাফাত।