নারী চিকিৎসক আরজি করকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতার রাজপথ। প্রতিবাদে ‘রাত দখলে’র সাক্ষী থাকল পুরো কলকাতা। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এর আঁচ। সোশাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, একাধিক পোস্ট শেয়ার করেছেন আলিয়া। যার প্রথমেই লেখা, ‘আরেকটা নৃশংস ধর্ষণ। মেয়েরা যে কোথাও নিরাপদ নয় তা আরেকবার বুঝতে পারা। আরও একটা ভয়ংকর নৃশংসতা আমাদের মনে করিয়ে দিল নির্ভয়া ট্র্যাজেডির এক দশকেরও বেশি সময় হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও কিছুই পালটায়নি।’
নিজের পোস্টে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) ২০২২ সালের রিপোর্ট দিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমাদের, নারীদের কেমন মনে হওয়া উচিত?
এটাই যদি আমাদের মনের ভিতরে চলতে থাকে তাহলে রোজ কাজে যাব কেমন করে? ভয়ংকর এই ঘটনা আবারও আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে নারীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এক অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ভার বহন করে।’
আলিয়ার বক্তব্য, ‘একের পর এক অপরাধ এবং নির্যাতিত নারী সত্ত্বেও পরিস্থিতি যে পালটাবে সেই আশা নেই। আমরা এই তরুণীকে বাঁচাতে পারিনি, কিন্তু এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেই চেষ্টা করতে পারি।
ক্ষমতাধরদের আমার অনুরোধ – নারীদের নিরাপত্তার উপরে জোর দিন, তাদের জন্য নিরাপদ স্থান তৈরিতে নজর দিন আর সুরক্ষা বাড়ান। কেন? এই শব্দে জোর দিন। দেয়াল লিখন, আমাদের সমাজ বর্তমানে যেভাবে কাজ করছে তাতে মৌলিকভাবে কিছু ভুল আছে।” সবশেষে অভিনেত্রী লেখেন, “নারীকে পথ পরিবর্তন করতে বোলো না, ভূমিকে বাসযোগ্য কর। প্রত্যেক নারীর ভালো থাকার অধিকার আছে।’
নিহত আরজি করের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সোদপুরে। তিনি ছিলেন মা-বাবার একমাত্র সন্তান। এমবিবিএস পাস করার পর আর জি কর মেডিকেল কলেজের চেস্ট মেডিসিন বিভাগে পোস্টগ্র্যাজুয়েট করছিলেন।
গত ৯ আগস্ট গত সপ্তাহে হাসপাতালে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয় তার মৃতদেহ।