দীর্ঘ ৭৮ দিন পর যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস তাপসকে সঙ্গে নিয়ে বরিশাল ফিরেছেন সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
গত ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন সাদিকের চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। এতে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে শুরু সাদিকবিরোধী বলয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে সড়কপথে বরিশাল ফেরেন।
গত ৫ এপ্রিল থেকে সাদিক আবদুল্লাহ ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যে কয়েকদিন ছিলেন ভারতের আজমির শরীফে।
বরিশালের সাদিক অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আগে থেকেই বরিশাল নগরীর প্রবেশমুখ গড়িযারপাড় মোড়ে অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে পৌঁছার পর সাদিক ও যুবলীগ চেয়ারম্যান পরশকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে নেতাকর্মীরা শতাধিক মোটরসাইকেলসহ শোভাযাত্রা করে তাদের কালিবাড়ি সড়কে সাদিকের বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেন। এসময় ছাদ খোলা গাড়ি থেকে হাত নেড়ে সাদিক তার কর্মী-সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানান।
আগামী শনিবার বরিশাল নগর ভবনের সামনে শান্তি সমাবেশ করবে যুবলীগ। এ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা করতে সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বরিশাল এসেছেন। সাদিক আবদুল্লাহ তার তার সঙ্গে এসেছেন। তারা সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই। এ ছাড়া আগামীকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে সাদিকের।
সাদিকপন্থী হিসেবে পরিচিত মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী নাঈমুল ইসলাম লিটু বলেন, আমরা আগেও যেভাবে সাদিকের রাজনীতি করেছি, এখনও সেভাবে মাঠে থাকব।
বরিশাল সিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র কিনতে গত ৪ এপ্রিল রাতে লঞ্চযোগে ঢাকা যান মেয়র সাদিক। কিন্তু আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের ১৫ এপ্রিলের সভায় তার চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহকে দলীয় মনোয়ন দেওয়া হয়। এরপর থেকে বরিশালে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হতে শুরু করে। নগর রাজনীতিতে গত ১০ বছরের একক আধিপত্য হারান সাদিক। এমনকি ১২ জুনের নির্বাচনে চাচাকে ভোট দিতেও বরিশাল আসেননি তিনি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনে সাদিক আবদুল্লাহর পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ নভেম্বর। তবে মেয়র হিসেবে আবুল খায়ের আগামী ৩ জুলাই শপথ গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।