দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে মহামারী করোনার তাণ্ডব। যাত্রীচাপ সামাল দিতে না পেরে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে দ্বিতীয় দিনেও নির্ধারিত সময়ের একঘণ্টা আগে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চগুলোকে ঘাট ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। পাশাপাশি কিছু যাত্রীকে ফেরতও পাঠানো হয়।
সোমবার (০১ জুন) রাতে বরিশাল নদী বন্দরে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত কল্পে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
জানা যায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সরকার কর্তৃক গণপরিবহন ও লঞ্চ চলাচলের অনুমোদন প্রদানের পর সোমবার (০১ জুন) বিকেল থেকেই বরিশাল থেকে বরিশাল নদী বন্দরে ঢাকামুখী মানুষের ঢল নামে।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চগুলো যাত্রী তুলছে কিনা এবং লঞ্চঘাটে কতটা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে তা মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান বিকেল থেকেই ঘটে অবস্থান নেন।
এসময় তিনি এবং বিআইডব্লিউটি-এর যুগ্ম পরিচালক ও নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রতিটি লঞ্চের সামনে-ডেকের অভ্যন্তরে সচেতনামূলক মাইকিং করেন।
একপর্যায়ে উপচে পড়া ভিড়ের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে লঞ্চের ডেকে যাত্রী তোলা বন্ধ করে দিয়ে নির্ধারিত সময়ের প্রায় একঘণ্টা আগেই লঞ্চগুলোকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বরিশাল নদী বন্দর থেকে সোমবার ঢাকার উদ্দেশ্যে ৬টি লঞ্চ ছেড়ে যায়।