ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার অজুহাতে বরগুনার বেতাগী উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দেশান্তরকাঠী গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র শীলের ছেলে লক্ষ্মীকান্ত শীল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের এক কিশোরীকে ঝাড়-ফুঁক দিয়ে চিকিৎসার অজুহাতে বাড়ির পেছনের কক্ষে নিয়ে যান লক্ষ্মীকান্ত শীল। এতে সামনের কক্ষে থাকা কিশোরীর মায়ের সন্দেহ হয়। গত মঙ্গলবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কিছুক্ষণ পর তিনি পেছনের কক্ষে গিয়ে দেখেন তার মেয়েকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করছেন লক্ষ্মীকান্ত শীল।
এ সময় কিশোরী ও তার মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে লক্ষ্মীকান্ত শীল পালিয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানির পরপরই লক্ষ্মীকান্ত শীলের ছোট ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবি চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে এ বিষয়ে কোথাও কোনো অভিযোগ দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওয়াব হোসেন নয়ন খান বলেন, ঘটনার পরে ইউপি সদস্য ছত্তার মল্লিক, রিয়াজ হোসেন, আলমগীর হোসেন ও বেতাগী থানার এসআই আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।
এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, লক্ষ্মীকান্ত শীল একাধিকবার এ ধরনের অপকর্ম করেছেন এবং তিনি এলাকায় ঝাড়-ফুঁক বাবা, সাধুবাবা নামে পরিচিত লাভ করেছেন।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, লক্ষ্মীকান্ত শীল তাকে ভুল বুঝিয়ে তার কক্ষে নিয়ে যায়। ওই কিশোরীকে শনিবার বা মঙ্গলবার রাতে \’বীর্য দ্বারা কবচ\’ তৈরি করে শরীরে ধারণ করলে অসুখ সেরে যাবে- এ ধরনের অপব্যাখ্যা দেয়। পরে যখন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তখন চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে উদ্ধার করে। প্রথমে বিষয়টি লোকলজ্জা ও মানসম্মানের ভয়ে কাউকে বলিনি, এখন বিষয়টি নিয়ে আমি উপযুক্ত বিচারের দাবি করছি।
বেতাগী থানার ওসি সখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, রবিবার ভুক্তভোগীর বাবা ও মা থানায় এসেছিল লিখিত অভিযোগ নিয়ে। অভিযোগপত্রটি কাটাছেঁড়া থাকায় কম্পোজ করে জমা দেবেন বলেছেন। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।