ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বরিশাল বিভাগের ৩ জেলায় গাছ চাপা পড়ে, নৌকা-ট্রলার উল্টে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী ৪ জনের মৃত্যুর কথা জানালেও রেঞ্জ ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম ৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে মঙ্গলবার রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বরগুনার পরিরখাল এলাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত শহিদুল ইসালম (৭০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি স্থানীয় বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিরখাল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লোন্দাগ্রামের একটি খালে ঝড়ের প্রভাবে ট্রলার উল্টে নিখোঁজ ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উদ্ধারকর্মী সৈয়দ শাহে আলমের (৫৫) লাশ সন্ধ্যা ৬টায় উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসন।
অপরদিকে মঙ্গলবার রাতে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে পটুয়াখালীর গলাচিপার পানপট্টির খরিদাবাজার এলাকায় রাশেদ (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, ভোলা ও মেহেন্দিগঞ্জের সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে ট্রলার উল্টে রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রফিকুল বুধবার সকালে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট থেকে ভোলার ইলিশা যাওয়ার পথে ট্রলার উল্টে নিখোঁজ হয়। দুপুরে তার লাশ উদ্ধারের পর বিকালে বোরহানউদ্দিনের বাড়িতে নেওয়ার পর স্থানীয় পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে। নিহত রফিকুল বোরহানউদ্দিনের হাসান নগরের বাসিন্দা ছিলেন।
ভোলার চরফ্যাশনে ঝড়ের সময় গাছ চাপা পড়ে বুধবার সকালে মো. সিদ্দিক (৭০) নামে আরেক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।