ঝালকাঠিতে খাদ্যসহায়তা না পেয়ে অটোরিকশা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

করোনাভাইরাসে গোটা দেশে বিরাজ করছে অস্থিতিশীল পরিবেশ। প্রাণঘাতী করোনায় ঝালকাঠিতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে অটোরিকশাচালকরা। এক মাস ধরে আয় হারিয়ে দুর্বিষহ অবস্থা তাদের। অটোরিকশা বন্ধ থাকায় একদিকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ব্যাটারি, আবার গ্যারেজের ভাড়াও পরিশোধ করতে হচ্ছে। একরকম না খেয়ে দিন কাটছে অটোরিকশা শ্রমিকদের। এ অবস্থায় আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের খাদ্যসামগ্রী না দিলে অটোরিকশা নিয়ে রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা।

অটোরিকশা শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ঝালকাঠিতে গত ২৪ মার্চ থেকে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। শহরের মোড়ে মোড়ে বাঁশ ও চট দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। প্রবেশদ্বারেও পুলিশের চেকপোস্ট থাকায় অটোরকিশা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ে দেড় হাজার অটোকিশা শ্রমিক। গত এক মাস অতিবাহিত হলেও পায়নি কোনো সহযোগিতা। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। তিনবেলা খাবার তো দূরের কথা, অসুস্থ স্বজনদের চিকিৎসাও করাতে পারছেন না অর্থাভাবে। রাস্তায় অটোরিকশা চলতে দেওয়া, অন্যথায় খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার দাবি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করে শ্রমিকরা। ৩০ মিনিট তারা প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখে। জনপ্রতিনিধিরা মুখ চিনে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন শ্রমিকরা।

কর্মহীন এসব শ্রমিকদের করোনাকালে ঘরে রাখতে হলে পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী দিতে হবে, অন্যথায় শহরের মোড়ে মোড়ে দেওয়া বেড়িকেড ভেঙে ফেলে অটোরিকশা চলাচল শুরু করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান। তিনি বলেন, যারা সহায়তা দিচ্ছেন, তারা ভোটের রাজনীতি করছেন। জনপ্রতিনিধিরা খাদ্যসামগ্রী দিয়ে নিজের ভোট ঠিক রাখছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাস্তায় বাঁশের বেড়া খুলে না দিলে শ্রমিকরাই ভেঙে ফেলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

ঝালকাঠি পৌরসভার কাউন্সিলর তরুণ কর্মকার বলেন, শ্রমিকদের মধ্যে ৪৫০ জনকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে, যারা বাকি আছে পৌরসভার তাদের তালিকা করে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। একটি মানুষও অভুক্ত থাকবে না বলেও জানান তিনি।

Scroll to Top