দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলেও গণপরিবহন চলছে আগের মতোই। থামছে না দুর্ঘটনা, নিরসন হচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়মও। অবস্থা যখন এমন, তখন একে অপরের উপর দোষ চাপাতে ব্যস্ত গণপরিবহন খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিটি পক্ষ। তবে বাসচালক ও মালিক, উভয়পক্ষই একটি বিষয়ে একমত- ড্রাইভারদের মাসিক বেতন নির্ধারণ করে দেয়া হলে বন্ধ হবে লোকাল বাসে যাত্রী তোলার অসুস্থ প্রতিযোগিতা।
মনির, কবির এবং হাবিব প্রত্যেকে কাজ করেন গণপরিবহনে। শুরুতে তারা দূরপাল্লার বাস কোম্পানিতে কাজ করলেও কেউই সেখানে স্বস্তি পাননি। একটু ভাল থাকার আশায় কাজ শুরু করলেন লোকাস বাস কোম্পানিতে। কিন্তু এখানে এসে ঠিক কতটা ভালো আছেন তারা?
যে রুটে তারা গাড়ি চালান, সেখানে যাত্রী নেয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা তীব্র। দূরপাল্লার গাড়িতে যাত্রী নিতে পাল্লাপাল্লি না থাকলেও রাজধানীর ভিতরের সড়কগুলোতে এটা প্রকট। কোনো নির্ধারিত মাসিক বেতন নেই, বাস মালিক আর চালকদের মধ্যে চলছে দৈনিক হারে টাকার ভাগ বাটোয়ারা।
এমন অবস্থায় কম বিপদে নেই সড়কে থাকা পথচারী আর যাত্রীরা। বিভিন্ন চাপে ড্রাইভার-হেল্পারদের নাকাল হওয়ার দশা হলেও মালিকপক্ষরা উল্টো তাদের ওপরই দায় চাপান। তবে মাসিক বেতন বেধে দেয়ার পক্ষে বাস মালিক আর চালকরা। এরপরও কেনো এটা কার্যকর হচ্ছে না?
বিদ্যমান সঙ্কট নিরসনে সব পক্ষের সমন্বয়ের উপর জোর দিয়েছে বিআরটিএ। সংস্থাটির ঢাকা বিভাগের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ড্রাইভারদের তাড়াহুড়ো থাকে যাত্রী তুলে ইনকাম করার জন্য। আমি পরিবহন মালিকদের সাথে ড্রাইভারদের মাসিক বেতনভুক্তির ব্যাপারে বসবো।