ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টির পানিতে দেশের উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীতে পানি বেড়েই চলছে। এতে রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। পানিবন্দি হয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার পরিবার। এমন অবস্থায় বন্যাকবলিতদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন তিনি।
ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘উত্তরবঙ্গের বন্যাকবলিত অঞ্চলে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে ইনশাআল্লাহ। তবে এই তহবিলে আপাতত আমরা কোনো অর্থ সহায়তা নিচ্ছি না। প্রয়োজন হলে আগামীতে ঘোষণা দেয়া হবে।’
ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে তিনি আরও লিখেছেন, ‘নোয়াখালী, কুমিল্লা অঞ্চলে ত্রাণ কার্যক্রমের পর এখন চলছে পুনর্বাসন কার্যক্রম। যেসব জায়গায় আমাদের টিম পুনর্বাসনের কাজ করছে: ফেনীর ৬টি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নে ৪৩টি টিম, নোয়াখালীর ৮টি উপজেলার ৬৭টি ইউনিয়নে ৫২টি টিম, লক্ষীপুরের ২টি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ১৯টি টিম, কুমিল্লা ৪টি উপজেলার ৩১টি ইউনিয়নে ৩১টি টিমসহ মোট ১৪৫টি টিম।’
এর আগে সরকারি খরচে হজে যাওয়ার যে প্রথা আছে তা চিরতরে বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তবে সরকারের তরফ থেকে নিয়োজিত ডাক্তার, হজ গাইড ও অন্যান্য হজসংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সরকারি খরচে হজে যাওয়ার বিষয়টিকে ভিন্ন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সরকারি টাকায় হজ করা এক ধরনের বিলাসিতা। প্রতি বছর অনেক ক্ষমতাসীন রাজনীতিক ও সরকারের পছন্দের মানুষ রাষ্ট্রের টাকায় হজে যান। এটা শরীয়া (ইসলামি বিধান) এবং নৈতিক- কোনো দিক থেকেই সিদ্ধ নয়।এতে একদিকে যেমন দেশের টাকার অসৎ ব্যবহার হয়, পাশাপাশি এইসব লোকের পেছনে হজ অফিসকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হয় এবং ব্যস্ত থাকতে হয়। এর ফলে সাধারণ হাজিরা তাদের যথাযথ সেবা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।’