মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার। দেশের ১৮ জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম একটি উড়াল সেতু। ১০.৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ ফ্লাইওভারটি পার হতে সময় লাগার কথা ১০ মিনিট; কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। যানবাহনগুলোকে ব্রিজের ওপর থমকে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় চালক ও যাত্রীদের।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ফ্লাইওভারের ওপর যাত্রী ওঠানামা, আর টোল আদায়ে ধীর গতিসহ নানা কারণে এ অবস্থা। যানজট নিরসনে তৈরি এ উড়াল সেতুটি এখন যানজটের অন্যতম কারণ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার যানবাহন চলাচল করে এ ফ্লাইওভার দিয়ে। ঢাকার প্রবেশ পথে দীর্ঘ যানজটের কারণে এ এক ফ্লাইওভারেই দৈনিক ক্ষতির পরিমাণ অর্ধ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, লাখ লাখ মানুষের কমপক্ষে ২০ হাজার কর্মঘণ্টা নষ্টের কারণও এটি।
অতিরিক্ত যানজটের কথা স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ দায় চাপাচ্ছে দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থার ওপর। তাদের মতে, রাস্তায় অবৈধ পার্কিং আর ভ্রাম্যমাণ হকারও এ যানজটের কারণ।
মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ডেপুটি ম্যানেজার (সেফটি অ্যান্ড ট্রাফিক) মো. নাইফ উদ্দিন খান বলেন, ‘এর সঙ্গে টোটাল একটা ট্রাফিক সিস্টেম জড়িত। আমি ফ্লাইওভার তৈরি করে দিয়েছি এক জায়গায়, শেষ। কিন্তু ট্রাফিকের কাজ যদি ঠিক করা না যায়, তাহলে সুফল পাওয়া যাবে না।’
সড়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হানিফ ফ্লাইওভারটি কারিগরিভাবে ত্রুটিপূর্ণ। সাধারণত ফ্লাইওভার থেকে নামার পথ বেশি থাকা উচিত কিন্তু এ ফ্লাইওভারে ঘটেছে উল্টো ঘটনা।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, হানিফ ফ্লাইওভারে উপরের যানজট কমাতে নিচের সড়ক পুরোপুরি ব্যবহারযোগ্য রাখতে হবে। এছাড়া, ফ্লাইওভার ম্যানেজমেন্টের ওপর জোর দিতে হবে দায়িত্বশীলদের।