কোটা সংস্কার আন্দোলনে ও পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘর্ষ-সহিংসতায় অনেকে সারা জীবনের জন্য প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছেন। আহত এসব মানুষের কারও পা অথবা হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। তাঁদের অর্ধেকের বয়স ২০ বছরের কম। এ ধরনের প্রতিবন্ধিতার শিকার অধিকাংশ মানুষ নিম্নবিত্ত পরিবারের।
তাঁদের একজন আল আমিন। আল আমিনের বয়স এখনো ১৭ বছর পার হয়নি। সে পাবনার ধোবাখোলা করোনেশন নাটিয়াবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। বড় হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন তার। তার বাবা ঢাকায় অটোরিকশা চালান, থাকেন রাজধানীর বাড্ডা এলাকায়। স্কুল বন্ধ থাকায় আল আমিন ঢাকায় বাবার কাছে চলে এসেছিল। ৫ আগস্ট বিকেলে মেরুল-বাড্ডা এলাকায় বিজয় মিছিলে সেও অংশ নিয়েছিল। মিছিলের ওপর গুলি চলে। অনেকের সঙ্গে সেও গুলিবিদ্ধ হয়। জীবনের ঝুঁকি কমাতে চিকিৎসকেরা তার বাঁ পা কেটে ফেলেছেন। এখন তার চিকিৎসা চলছে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতালে)।