সীমান্ত পেরিয়ে খুন হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা পান্নার সঙ্গে ছিল চার কোটি টাকা!

সিলেট সীমান্ত পার হয়ে ভারতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসহাক আলী খান পান্না। তার মরদেহ এখনও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের স্থানীয় থানায় রয়েছে। আজ মরদেহ হস্তান্তর হবে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে।

এদিকে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে- আওয়ামী লীগ নেতা পান্নার সঙ্গে বিপুল অর্থ। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় তিন কোটি রুপির সমপরিমাণ মার্কিন মুদ্রা ডলার ছিল বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ চার কোটি টাকারও বেশি।

পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই মরদেহে পাওয়া পাসপোর্ট থেকে পান্নার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে শ্বাসরোধের কথা বলা হয়েছে। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। কপালে ছিলে যাওয়া ও ক্ষতচিহ্নের কথা বলা হয়েছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে।

 

আসাম ট্রিবিউন ও শিলং টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পান্নার কাছে প্রায় তিন কোটি রুপির সমপরিমাণ মার্কিন ডলার ছিল বলে তার স্বজনরা দাবি করেছেন।

তবে মরদেহ উদ্ধারের সময় কোনও মুদ্রা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড় জেলা পুলিশের প্রধান গিরি প্রসাদ।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। আমরা যখন লাশ উদ্ধার করি, তখন বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও স্মার্টওয়াচ ছাড়া কোনও অর্থকড়ি পাওয়া যায়নি। পান্নার মরদেহ বর্তমানে খেইহরিয়াত সিভিল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

ইসহাক আলী খান পান্না ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর তিনি দলের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহসম্পাদক হন।

 

সূত্র: আসাম ট্রিবিউনশিলং টাইমস, এনডিটিভি, ইউএনআই

Scroll to Top