পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেবে পুলিশ সদর দপ্তর। আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন থানা, ইউনিট ও কর্তব্যস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের লুট হওয়া কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কোনো ব্যক্তির কাছে এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯০টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, ৯২ হাজার ৯১টি গুলি, কাঁদানের গ্যাসের ২ হাজার ৮৮০টি শেল এবং ২৯৬টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও প্রাণহানি ঘটে। শেষ তিন দিন (শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতা ছাড়ার আগে–পরে) থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়।
এসব ঘটনায় পুলিশের প্রায় সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। থানার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, ১৫ আগস্ট থেকে সব থানায় কার্যক্রম চালু হয়। ধীরে ধীরে উদ্ধার হচ্ছে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ।