পতেঙ্গায় ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে সৈকত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম

পতেঙ্গায় ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে সৈকত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম
পতেঙ্গা সৈকতে রাজনীতিবিদ, কুটনীতিক এবং বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা আবর্জনা পরিস্কার করেন - সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে জি ২০ মেগা বিচ ক্লিন আপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভারতীয় হাইকমিশন। রোববার বিকেলে আয়োজিত এক ঘন্টার অনুষ্ঠান শেষে পতেঙ্গা সৈকত থেকে রাজনীতিবিদ, কুটনীতিক এবং বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা আবর্জনা পরিস্কার করেন।

২০২৩ সালে ভারতের জি ২০ প্রেসিডেন্সির আচরণবিধির অধীনে আয়োজিত এই কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের সদস্যদের পাশাপাশি শিক্ষার্থী এবং তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সবসময় জলবায়ু ইস্যুতে সম্মুখসারিতে রয়েছে। উপকূলীয় ও সামুদ্রিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তা বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণের সহায়ক হিসাবে ভারত সরকারের এই উদ্যোগ এবং নাগরিককেন্দ্রিক অংশগ্রহণের প্রশংসা জানাই।

ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারতের জি ২০ প্রেসিডেন্সি চলাকালে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের আমন্ত্রণ বাংলাদেশের গ্রহণ করা উভয় দেশের বিস্তৃত ও সুগভীর অংশীদারত্বের প্রতিফলন। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক হচ্ছে বহুমুখী এবং সেটা যৌথ প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষাসহ সুবিস্তৃত নানা ক্ষেত্রে সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, ‘উপকূলীয় ও সামুদ্রিক আবাসস্থলের সংরক্ষণ ও সুরক্ষার এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা আমাদের দুই দেশের যৌথ মূল্যবোধ ও অগ্রাধিকারসমূহের একটি স্বত:স্ফূর্ত সম্প্রসারণ।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বিশেষ অথিতি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক এবিএম ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠান শেষে অতিথি ও স্বেচ্ছাসেবকরা দল বেধে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে আবর্জনা অপসারণ করেন।

জি২০ মেগা বিচ ক্লিন আপ ইভেন্টেটির উদ্দেশ্য হলো পরিবেশের ওপর সামুদ্রিক বর্জ্যরে প্রভাব সম্পর্কে সংবেদনশীল করা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা। অনুষ্ঠানে পরিবেশগত সংকট প্রশমণে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা ও জনসমাজের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।