ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ছাড়ছে ঘরমুখী মানুষ। এর ফলে দেশের মহাসড়কগুলোতে বেড়েছে গাড়ির চাপ। তবে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির দেখা পায়নি মানুষ। একটা সময় ছিল ঈদযাত্রা মানেই যানজট, ভোগান্তি, আর সড়কে লাশের সারি। বিগত বছরগুলোতে বাস টার্মিনালে মানুষের ভিড় ছিল। টিকিট পেতে ভোগান্তি পোহাতে হতো। কিন্তু এ বছর টার্মিনাল ফাঁকা। যাত্রীচাপ নেই বললেই চলে। ঈদযাত্রাও হচ্ছে নির্বিঘ্নে।
এদিন বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, মহাখালী বাস টার্মিনালে ঈদযাত্রীদের তেমন ভিড় নেই। টার্মিনালে যাত্রীসংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের মতোই। ঈদের কোনো হাঁকডাকও নেই। অলস সময় পার করছেন অনেক পরিবহনের শ্রমিকেরা। তবে শুধু এনা পরিবহনে ময়মনসিংহ কাউন্টারে ১৫-২০ জন যাত্রীকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিতে দেখা গেছে। অন্য বেশিরভাগ কাউন্টার ছিল ফাঁকা।
ঈদ উদ্যাপন করতে সড়কপথেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ বাড়িতে যান। ফলে মহাসড়কগুলোতে হঠাৎ গাড়ির চাপ বেড়ে যায় এবং সারা দেশের মহাসড়কগুলোতে যানজটে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহান ঘরমুখী মানুষ। এ দুর্ভোগ বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রুটের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।
তাদের ভোগান্তির প্রধান কারণ পদ্মা নদী পারাপার। পদ্মা সেতু হওয়ার আগে ঢাকার একাংশ ছাড়াও খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মানুষ মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট পার হয়ে বাড়ি যেতেন।
কিন্তু ফেরিতে পারাপারের জন্য এসব জেলার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। ফেরি সংকট, নাব্য সংকট, সীমিত সামর্থ্য ইত্যাদি নানা কারণে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট লেগে যেত। এই যানজট পেরিয়ে ফেরি পার হতে হতে কখনও কখনও ১৮ থেকে ২২ ঘণ্টাও যানজটে থাকার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেকের। তবে শুধু একটি সেতুর জাদুতেই পরিস্থিতিতে যেন নিমিষে বদলে গেছে। ভবিষ্যতেও ঈদযাত্রা যেন এমন স্বস্তিদায়ক ও আনন্দের হয়, এমনই প্রত্যাশা সকল ঘরমুখো মানুষের।