পুলিশ কর্মকর্তা খুনের মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিষয়ে ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, আরাভ খানকে এতদিন খুঁজে না পাওয়া বা গ্রেফতার করতে না পারা পুলিশের ব্যর্থতা। আমরা তাকে খুঁজে পেতে সাহায্য করেছি। আমরা ফেসবুকে পোস্ট না দিলে, দুবাইতে না গেলে কেউ আরাভ খানের বিষয়ে জানত না, তার পরিচয় জানত না। পুলিশের উচিত আমাদের পুরস্কৃত করা।
শনিবার দুবাই থেকে টেলিফোনে এসব কথা বলেন হিরো আলম। এর আগে আরাভ খানের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে দুবাইতে যান হিরো আলম। সেখানে গিয়েছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, অভিনেত্রী দিঘিসহ অনেকে। ১৫ মার্চ সেই দোকানের উদ্বোধন হয়। হিরো আলমের দেশে ফেরার কথা রয়েছে রোববার।
মূলত সেই স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে দুবাই যাওয়ার বিষয়ে সাকিব ও হিরো আলমের ফেসবুকে ভিডিও প্রকাশের পরই আরাভ খানকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
দুবাই থেকে হিরো আলম আরও বলেন, পুলিশ বলেছে, এ বিষয়ে প্রয়োজনে আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যে কোনো মামলার তদন্তে পুলিশ ওই ঘটনার সংশ্লিষ্ট বা সন্দেহজনক যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো- পুলিশ খুনের সঙ্গে সাকিবের সংশ্লিষ্টতা কোথায়? সেটা আগে পুলিশকে বলতে হবে।
আরাভ খান পুলিশ খুনের আসামি এ তথ্য জানতেন না দাবি করে হিরো আলম বলেছেন, আরাভের সঙ্গে আমার ফেসবুকে পরিচয়। একজন বাংলাদেশি উদ্যোক্তা হিসবে তিনি দাওয়াত দিয়েছেন। আমরা তাদের উৎসাহ দিতে সেখানে গিয়েছি। আরাভ খানে জায়গায় অন্য কোনো ব্যবসায়ী আমাদের আমন্ত্রণ জানালেও আমরা সেখানে যেতাম।
হিরো আলম বলেন, আরাভ খান দুবাইতে এসে স্বর্ণের ব্যবসা করছেন, এটা আমরা না এলে সবার কাছে অজানাই থাকত। আমি আর সাকিব ভাই এসেছি বলে এই ঘটনা সবাই জানতে পেরেছে। আরাভ খান সবার সামনে এসেছেন। তার আসল পরিচয় উন্মোচিত হয়েছে।
হিরো আলম মনে করেন, পলাতক আসামিকে খুঁজে পেতে সাহায্য করায় হিরো আলম ও সাকিব আল হাসানকে পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা উচিত। সেটা না করে উল্টো তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি বাসায় খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খান। অভিযোগ রয়েছে, তাকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই মামলায় ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডের পরপরই ভারতে পালিয়ে যান রবিউল ইসলাম। এদিকে পুলিশ হত্যার মামলায় রবিউল ইসলামের ভাড়া করা এক ব্যক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং ৯ মাস জেল খাটেন।
বলা হচ্ছে, ২০২০ সালে নাম বদলে ভারতীয় পাসপোর্ট পান রবিউল ইসলাম। পাসপোর্টে তার নতুন নাম দেওয়া হয় ‘আরাভ খান’। এরপর তিনি দুবাই চলে যান।