ভালোবাসা দিবস আর বসন্ত বরণে রাজধানীবাসী প্রস্তুত। গেল তিন বছরের মতো এবারও দুটি উৎসবই উদযাপন করা হবে একই দিনে অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)। নিজেকে সাজাতে তাই ফুল ও পোশাকের দোকানে ভিড় করছে উৎসবপ্রিয় বাঙালি। ক্রেতারা বলছেন, অন্য বছরের চেয়ে এবার দাম কিছুটা বেশি। আর বিক্রেতারা বলছেন, দুই উৎসব একসঙ্গে হওয়ায় বিক্রিতে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক, ফুল ভালোবাসার প্রতীক। নারীর খোপায় কিংবা পুরুষের হাতে ফুলের মোহন সৌন্দর্য শোভা ছড়ায় উৎসবে-পার্বনে। ভালোবাসার রঙে বসন্ত বরণে গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা আরও কতশত ফুল সেজেছে দোকানে দোকানে।
প্রিয় থেকে প্রিয়তম সবার অপেক্ষা ভালোবাসার উৎসবে ফাগুন রঙিন দিনের।
‘জোটে যদি একটি পয়সা খাদ্য কিনে নিও ক্ষুধার লাগি, দুটি যদি জোটে তবে ফুল কিনে নিও হে অনুরাগী’। দাম যা-ই হোক কবির আহ্বানে যেন ছুঁয়ে গেছে বসন্তবিলাসী মন।
ফুল কিনতে আসা এক নারী বলেন, ‘সবারই বিশেষ কোনো ব্যক্তি থাকে, যাকে কিছু দিতে ইচ্ছা করে। তো ভালোবাসা দিবসে এমন কিছু করার উদ্দেশে আমি ফুল নিতে এসেছি।’
তবে ক্রেতারা বলছেন, কয়েকদিন আগেও ফুলের এতটা দাম ছিল না। কিন্তু ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত বরণ উৎসব ঘিরে ফুলের দাম অনেক বেড়ে গেছে।
চড়ামূল্যের বাজারে বিকিকিনি যা হচ্ছে তাতে ভালোই যাচ্ছে কেটে। সৌখিন বিক্রেতাও বাদ যায় না উৎসবের ভাগ নিতে।
বিক্রেতারা বলছেন, গতবার খুব ভালো বেচাকেনা হয়েছে। এবার আরও বেশি বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
বাসন্তি হাওয়া লেগেছে শহুরে কেনাকাটায়। ফুলের রঙে পোশাকেও ফুটেছে ভালোবাসার সব রঙ। লাল হলুদই চোখে পড়েছে বেশি। সব শ্রেণিপেশা, বয়স, ধর্ম-বর্ণ যেন মিলতে প্রস্তুত একই উৎসবের মোহনায়।
ক্রেতারা বলছেন, নতুন পোশাক পরার অনুভূতি অন্য রকম। নতুন পোশাক পরে দিনটি ভালোভাবে কাটাব, সেটাই ভালোবাস দিবস আর বসন্ত বরণের আনন্দ। তাই পছন্দের পোশাক কিনতে এসেছি।
নামিদামি ব্র্যান্ড, ছোট উদ্যোক্তা সবাই সামিল উৎসবে। ছাড় দিয়েও কাটতি বাড়াচ্ছেন অনেকে।
সব ভেদাভেদ ভুলে বছরজুড়েই ভালোবাসার সৌরভ ছড়িয়ে যাক প্রতিটি প্রাণে। রঙ যেন সব মর্মে লাগে। এমন প্রত্যাশা সবার।