বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম।
এই আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক জাসদের একেএম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল) বেসরকারিভাবে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার দিনভর ইভিএমে ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ৯টায় রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বগুড়া-৪ আসনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
এদিকে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।ফলাফল বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বগুড়ার দুই আসনে পরাজয়ের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, আমার বিজয় ছিনতাই হয়েছে। এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। এই ফলাফল বয়কট করছি। এই ফল মানি না। ফলাফল বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করব।
হিরো আলম বলেন, সারা বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল, হিরো আলমের আজ কী হবে? গর্বে আমার বুকটা ভরে গেছে, এই নির্বাচন নিয়ে গোটা বিশ্বের মানুষের আগ্রহ দেখে মনে হয়েছে, আমি প্রধানমন্ত্রীর ভোট করলাম। মানুষ তাকিয়ে ছিল আমার বিজয় হবে। কিন্তু সেই বিজয় ছিনতাই হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সবাই বলছেন, আপনি পাস করেছেন, ভোটাররাও ভোট দিয়েছেন। আমার এত ভোট গেল কই? কিন্তু ফলাফল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগের লোকজন বলছেন, মশাল জিতে গেছে; এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি। আওয়ামী লীগের লোকজনও আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। ওই ভোটগুলো গেল কই? এই ফলাফল আমি মানি না। আমাকে চক্রান্ত করে হারিয়ে দিলেও যে ভোট পেয়েছি তাতে আমি বিজয়ী।
হিরো আলমের অভিযোগ, কিছু কিছু শিক্ষিত লোক আমাকে মেনে নিতে চান না। তারা ভাবেন, আমি পাস করলে দেশের সম্মান যাবে, অনেকের সম্মান যাবে। অফিসারদের লজ্জা যে হিরো আলমকে স্যার বলে সম্বোধন করতে হবে। সেজন্যই আমাকে জিততে দেওয়া হয়নি।