বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নতুন কোনো রোহিঙ্গা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো নয় বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দেশটির দুই গ্রুপের সংঘাতের কারণে আতঙ্কে কেউ কেউ বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করছে। তবে নতুন করে মিয়ানমার থেকে আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’

আজ সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরকারের এই অবস্থান তুলে ধরেন। এর আগে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে আবারও দেশে রোহিঙ্গা প্রবেশ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। শূন্যরেখায় যে বিশৃঙ্খলা চলছে মিয়ানমারের দুই দলের মধ্যে ভয় ও আতঙ্কে বেশকিছু মানুষ এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে। পরিস্থিতি খুব বেশি ভালো না। কারণ বাড়িঘর অনেক জ্বালিয়ে দিয়েছে। এসব বিষয়ে বিশদভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। এটি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে এবং তারা মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে।’

গতকাল রোববার ড. মোমেন বলেছিলেন, মিয়ানমার সীমান্তে হত্যা এবং গোলাগুলির ঘটনা দুঃখজনক। বাংলাদেশ তার সীমান্ত রক্ষা করে চলেছে। চীনকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বেইজিং যথাযথভাবে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। বেইজিংও বিশ্বাস করে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।

এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার জাহাজের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু জানে না জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রুশ জাহাজটিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমাদের বন্দরে পণ্য খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর জাহাজটি কোথায় গেল আর না গেল, সেটা আমাদের জানার বিষয় নয়।’

চীন অভিমুখে রুশ জাহাজের ব্যাপারে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, রূপপুরে রাশিয়ার পণ্যবাহী জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, আন্তর্জাতিক নয়। এটা জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা নয়। কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা সাধারণ মানুষ এবং কোনো দেশের সঙ্গে সহযোগিতাকে প্রভাবিত করবে না বলে আশা করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি প্রসঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন যে কোনো বৈশ্বিক উদ্যোগকে সমর্থন করে, যদি তা বিশ্বব্যাপী বিভাজন ও সংঘাত নিরসন করে অভিন্ন উন্নয়নের জন্য সহায়ক হয়। একটি দেশের যে কোনো উদ্যোগ একটি নির্দিষ্ট দেশের জন্য বা কোনো দেশের বিরুদ্ধে একচেটিয়া না হয়ে ‘উন্মুক্ত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক’ হওয়া উচিত। তাই কোনো দেশকে বাদ দিয়ে বা কারও বিরুদ্ধে জোট হলে তাতে যোগদানের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।